জয়পুর: ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোচ্চার হল পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল)৷ দলিত সমাজকর্মী ধর্মেন্দ্র কুমার ভীম আর্মি প্রধানের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেন৷ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কোভিভ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের চাকরির দাবির সমর্থনে চন্দ্রশেখর আজাদ জয়পুর এসেছিলেন৷ কিন্তু মাঝরাতে হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷’ এই গ্রেফতার বেআইনি বলে জানিয়ে ধর্মেন্দ্র কুমার বলেন, ‘চন্দ্রকুমারের গ্রেফতারিতে স্পষ্ট, ক্ষমতা প্রদর্শন করে পুলিস আজাদকে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগে বাধা দিতে চেয়েছে৷’
২ জুলাই কোভিড হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের স্থায়ী চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল৷ তার একদিন আগে জয়পুর পৌঁছন চন্দ্রশেখর আজাদ৷ অনুগামীদের নিয়ে একটি হোটেলে ওঠেন তিনি৷ সেদিন রাতে পুলিস হোটেলে ঢুকে ভীম আর্মির প্রধান ও তাঁর ২১ জন অনুগামীকে গ্রেফতার করে৷ ধর্মেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, পুলিস রাত সাড়ে ১২টার সময় হোটেলে ঢুকে আজাদ ও তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করে৷ কিন্তু এত তাড়াহুড়ো করে গ্রেফতারির আদৌ দরকার কি? প্রশ্ন তোলেন ওই দলিত সমাজকর্মী৷ তিনি বলেন, ‘জয়পুর পুলিসকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে সেরকম হলে প্রতিবাদ কর্মসূচি এখন স্থগিত রাখা হবে৷ বড়জোর বিকল্প হিসেবে সরকারি অফিসে গিয়ে আমরা স্মারকলিপি জমা দেব৷ কিন্তু পুলিস মধ্যরাতে হোটেলে ঢুকে আজাদ ও তাঁর ২১ জন সঙ্গীকে ঘর থেকে টেনে বের করে নিয়ে যায়৷ সবাইকে ফৌজদারি আইনের ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে৷’
কোনও অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই পুলিস ফৌজদারি আইনের ১৫১ ধারায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারে৷ আজাদের ক্ষেত্রে সেই ধারা প্রয়োগ করে পুলিস বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিতে চেয়েছে বলে অভিযোগ পিইউসিএলের৷ কিন্তু অপরাধ হতে চলেছে এমন কোনও প্রমাণই যেখানে নেই সেখানে কী করে ওই ধারায় পুলিস গ্রেফতার করতে পারে? প্রশ্ন তোলেন সমাজকর্মী ধর্মেন্দ্র কুমার৷