কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কমেডি কিং ‘জুগনু’ এবং খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘রব নে বনা দি জোড়ি’। পঞ্জাবের ছ’দশকের ইতিহাস ভেঙে এই প্রথম কংগ্রেস-অকালি দলের বাইরে সরকার গঠন করতে চলেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। বদলাও বা পরিবর্তনের এই কর্মযজ্ঞে কেজরির প্রধান ঋত্বিক ছিলেন ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। পেশায় একসময় ছিলেন হাস্যকৌতুক অভিনেতা। সিনেমাও করেছেন কয়েকটি। রয়েছে গানের অ্যালবামও। বিভিন্ন কাণ্ডকারখানায় কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তিনি ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকার মালিক। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। প্রভূত সম্পত্তি গাড়ি বাড়ির মালিক মান আপাতত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন।
ভগবন্তের জন্ম ১৭ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে। পঞ্জাবের সাতোজ-এ। জাঠ শিখ পরিবারে তাঁর জন্ম। ২০১৪ সালে পঞ্জাবের সাঙরুর কেন্দ্র থেকে তিনি লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের গোড়ার দিকে তিনি পিপলস পার্টি অফ পঞ্জাবে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়ে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২ লক্ষ ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন তিনি। ২০১৯ সালে ফের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে লোকসভার সদস্য হন। সংসদের নিম্ন কক্ষে তিনিই একমাত্র আপের সদস্য।
১৯৯২ সালে তাঁর কমেডির প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ৯৩ সালে কুলফি গরমাগরম অ্যালবামে তিনি খ্যাতিলাভ করেন। তারপর থেকে প্রায় ২৪টি কমেডির অ্যালবাম বেরোয় তাঁর। লেখা গানের অ্যালবামের সংখ্যা ৪টি। ১৩টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৫টি ভিডিও মিউজিক অ্যালবাম আছে।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: পঞ্জাব জয়ের পর দেশের যুব ও মহিলাদের আপে যোগ দেওয়ার আহ্বান কেজরির
জীবনের শুরু থেকেই রঙিন দুনিয়ায় ওঠানামা করতে গিয়ে তাঁর গায়ে কালা ধাব্বাও কম লাগেনি। মদ্যপায়ী হিসেবে তাঁর বিশেষ সুনাম ছিল একসময়। যে কারণে ২০১৯-এ বারনালায় এক সমাবেশে মানকে ঘোষণা করতে হয়, মদ্যপান ত্যাগের কথা। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি শপথ নেন, আর কোনওদিন মদ স্পর্শ করবেন না তিনি। এই মদ্যপানের অভ্যাসের জন্যই ২০১২ সালে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। ২০১৫ তে তাঁর নিজের জেলায় একটি শোকসভায় মদ্যপ অবস্থায় এসেছিলেন মান।
এছাড়াও রাজনীতির জন্য তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন, এই কথা ফেসবুকে লিখে সমালোচনার মুখে পড়েন ২০১৫ সালে। ওই বছরই তাঁর ইন্দরপ্রীত কৌরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। তার পরের বছরই লোকসভার স্পিকার বাদল অধিবেশনে তাঁকে বহিষ্কার করেন। কারণটা ছিল, লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সংসদ থেকে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন।