কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে লোভী বাবুল। সেই কারণেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। রবিবার একদা সতীর্থ সেই অনুপমের কটাক্ষের জবাব দিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানেই সাংবাদিকদের নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাবুল। যেখানে বিজেপিত্যাগী বাবুলের বিরুদ্ধে নানা ট্রোল নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।
শনিবার আসানসোলের সাংসদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে অনুপম হাজরা বলেছিলেন যে তৃণমূলের সঙ্গে ‘ঝালমুড়ি রফা’ হয়েছে বাবুলের। যার পালটা রবিবার বাবুল বলেছেন, “আমি অনুপম হাজরার প্রশ্নের কেন উত্তর দেব। ও পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য এসব করছে। অনুপম হাজরার উত্তর না দিয়ে আমি হাজরার মোড়ে কচুরি খাব।”
আরও পড়ুন- বিজেপিতে ‘বেসুরো’ বাবুল, দিদির আশ্বাসে প্রাণ ঢেলে গাইতে চাইছেন তৃণমূলে
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকবছর আগে ২০১৫ সালে নজরুল মঞ্চ থেকে একই গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফিরছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় কেন্দ্রের নগরান্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কেন্দ্র সরকারের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাবুল। গাড়িতে ফেরার সময় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়েছিলেন বাবুল। শুধু তাই নয় সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশংসার সুরও শোনা গিয়েছিল বাবুলের গলাতে। আর সেই ঘটনায় ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। মমতা-বাবুলের এই সৌহার্দ যা ‘ঝালমুড়ি কূটনীতি’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে রাজনৈতিকমহলে।
আরও পড়ুন- মুসলিমবিদ্বেষী বাবুলকে আক্রমণ সুমনের, নিশানায় নচিকেতা-শ্রীজাতও
সেই ঝালমুড়ি নেহাতই সৌজন্যমূলক ছিল বলে দাবি করেছিল দুই পক্ষ। এদিনও সেই একই দাবিতে অনড় ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেছেন, “ভিক্টোরিয়ার সামনে আমায় একজন কন্সটিটিউশানাল হেড অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য যখন অফার করছিলেন তখন আমি কি না করতে পারতাম?”