কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার সময় সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিবিআই ডাকলে ভয় কীসের? অসুস্থতার দোহাই দিয়ে কেন তিনি বারবার হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন? তিনি তো গরুপাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত নন, তা হলে গ্রেফতারির ভয় কেন? সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআইকে (CBI) সহযোগিতা করা উচিত অনুব্রত মণ্ডলের। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই রায় পছন্দ না হওয়ায়, ইতিমধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন গ্রহণও করেছে। তার মধ্যেই ফের একবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা।
সিবিআই সূত্রে খবর, ১৫ মার্চ, মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এই তলব। আগের মতো এ বারও সমন পেয়ে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত। আইনজীবী মহলের একাংশের অভিমত, অনুব্রত মণ্ডল যে ভাবে বারবার সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন, তা নজিরবিহীন।
সিঙ্গল বেঞ্চে আইনজীবী মারফত অনুব্রত জানিয়েছিলেন, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু, তিনি চান বাড়ির কাছাকাছি কোথাও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদেও তাঁর আপত্তি নেই। অনুব্রতর আবেদন ছিল, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁর পক্ষে কলকাতায় গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির এই আর্জির বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, উনি এর মধ্যে একাধিকবার কলকাতায় এসেছেন। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সোশাল মিডিয়াতেও তিনি সক্রিয়। তা হলে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে কলকাতায় আসতে আপত্তি কোথায়?
আরও পড়ুন: Presidency University: বিশ্বভারতীর আঁচ এবার প্রেসিডেন্সিতে, হস্টেল খোলার দাবিতে ডিন-কে ঘেরাও
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই আপত্তির কারণেই গত শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচ তুলে নেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন অনুব্রত। বুধবারই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার জুরুরি শুনানি রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ পুনরায় তাঁকে রক্ষাকবচ না দিলে, চাপে পড়বেন অনুব্রত মণ্ডল।