আমতা: হুমকি ফোন নিয়ে শনিবার আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আনিসের দাদা সাবির খান। অভিযোগ, গত বুধবার গভীর রাতে আনিস খানের (Anis Khan Death) পরিবারের কাছে একটি ফোন আসে। সাবির জানান, সেই ফোনে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি (Threat Call) দেওয়া হয়। ঠিক তার একদিন পর অর্থাৎ ২৪ তারিখ ওই নম্বর থেকে তাঁর কাছে আরও একটি ফোন আসে। সেই ফোনে ভুল হয়ে গিয়েছে বলে ক্ষমা চান ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। সাবির এও জানান, আমতা থানার (Amta police station) ওসির পরামর্শেই তিনি এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।
সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে না সরলে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেব! ২৩ ফেব্রুয়ারির রাতে ঠিক এমনই হমকি দিয়ে ফোন আসে বলে জানান মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের দাদা সাবির খান। সাবির বলেন, গত বুধবার রাত ১টা ৪ মিনিটে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। পরিচয় জানতে চাইলে সে জানায়, সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সরে আসতে, নাহলে সাবিরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে সে। মৌখিকভাবে সেই হুমকি ফোনের অভিযোগ পুলিসকে জানিয়েছিলেন সাবির। দ্বিতীয়বার ফোন আসায় শনিবার আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্তের আবেদন জানায় আনিসের পরিবার।
আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022: রবিবার ১০৮ পুরসভার ভোট কেমন হবে, নানা জল্পনা
এদিকে শনিবার ভোরে কবর থেকে আনিসের দেহ তোলা নিয়ে ধুন্ধুমার হয় আমতার দক্ষিণ খান পাড়ায়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য এদিন আনিসের দেহ আনতে গ্রামে যায় পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে ফাঁকা হাতেই ফিরে আসতে হয় তদন্তকারীদের। শুক্রবারই আনিসের বাবা সালেম খান ময়নাতদন্তের জন্য দুদিন সময় চেয়ে নেন। অসুস্থতার কারণে শনিবার দেহ তোলাতে রাজি হননি তিনি। অথচ শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ দেহ তুলতে যায় সিট (SIT) ও পুলিসবাহিনী। তারপরই শুরু হয় অশান্তি। সিট দেহ চুরি করতে এসেছে বলেও অভিযোগ করে আনিসের পরিবার। দাদা সাবির খান বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দেহ তুলে ময়নাতদন্তে রাজি হয়েছিলাম আমরা। অসুস্থতার কারণে শুধু একটু সময় চেয়েছিলাম। তারপরও রাতের অন্ধকারে ওরা চলে এল। এটাকে দেহ চুরি ছাড়া আর কি বলব?’