পানাজি: তাঁর মনের কথায় রাগ হয়েছিল আরেকজনের৷ সরাসরি সেই ‘মনের কথার’ বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন তিনি৷ প্রথম জন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)৷ দ্বিতীয় জন দলের দাপুটে সাংসদ তথা লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Kalyan Banerjee)৷
দুই বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিবাদ’ সম্প্রতি তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছিল৷ কল্যাণ বলেছিলেন, ‘নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তিনি আর কাউকেই পরোয়া করেন না৷’ এবার মুখ খুললেন অভিষেক৷ একই সুরে কথা বললেন৷ তাঁর কথায়, ‘আমার নেত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আমিও তিনি ছাড়া কারও কাউকে মানি না৷’
না মানার এই হুঁশিয়ারি মধ্যেই দলের গণতন্ত্র নিয়েও মুখ খুললেন অভিষেক৷ যেভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মনের কথা’ প্রকাশ্যে বলতে পেরেছেন সেটা দলের বা তৃণমূলের গণতন্ত্রকে প্রমাণ করে৷ অভিষেকের কথায়, দলে গণতন্ত্র আছে বলেই মন খুলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলতে পারেন৷
আরও পড়ুন: Goa Polls: চিদম্বরমের জন্য গোয়ায় জোট হয়নি, ভোটের আগে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের
সম্প্রতি অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন কল্যাণ৷ তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ কল্যাণকে আক্রমণ করেন দলেরই সাংসদ অপরূপা পোদ্দার৷ কল্যাণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা যায় হাই কোর্টে৷ প্রতিবাদ জানিয়ে কল্যাণের কুশপুত্তলিকা পোড়ায় যুব তৃণমূলের সদস্যরা৷ কিন্তু একটি বারও মুখ খোলেননি অভিষেক৷
বৃহস্পতিবার গোয়ায় ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি নিজেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম-প্রসঙ্গে টেনে আনেন৷ একদিকে বোঝাতে চাইলেন তিনিও মমতা ছাড়া তৃণমূলের কারও কাছে জবাবদিহি করতে রাজি নন৷ বুঝিয়ে দিলেন, দলের এক ও একমাত্র নেত্রী মমতাই৷ তাঁর কথাই শেষ কথা৷ আবার এটাও বুঝিয়ে দিলেন, এই দলে গণতন্ত্র আছে৷ প্রতিটি সদস্য মন খুলে কথা বলতে পারেন৷ এভাবে আপাত দিক থেকে বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা করলেন৷ মমতাকে সামনে রেখে বুঝিয়ে দিলেন দলে শেষ কথা নেত্রীই৷ এর পরই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে করে অভিষেক বলেন, কংগ্রেসের মতো ‘হাই কম্যান্ড কালচার’ যে তৃণমূলে নেই, তা প্রমাণিত হয় ।
আরও পড়ুন: Mousam Benjir Nur: পুরসভার ডায়েরিতে নাম বাদ, রুষ্ট-অভিমানী মৌসম