Placeholder canvas
কলকাতা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ: রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইন
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২, ১০:০৫:৫৮ পিএম
  • / ৭২১ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়, সুপ্রিম কোর্ট, রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনকে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল৷কেবল তাই নয়, দেশের প্রত্যেক পুলিস এজেন্সির কাছে নির্দেশ গেল, এই আইন আপাতত ব্যবহার করা চলবে না৷ যাঁদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে, তাঁরা জামিনের আপিল করতে পারবেন। খুব স্পষ্ট নির্দেশ। এ নির্দেশ এলো দেশ স্বাধীন হবার ৭৫ বছর পরে৷ স্বাধীনতার অমৃত উৎসবের মাঝখানে, ৭৫ বছরে নয় নয় করে ৭৫ হাজার বার এই আইন ব্যবহার করা হয়েছে৷ এই ১২৪ এ ধারায় অভিযুক্তরা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে জেল খেটেছেন, খলিস্থানি থেকে ইসলামিক টেররিস্ট থেকে নকশালপন্থী, বিভিন্ন রাজ্যের পুনর্গঠনের আন্দোলনকারী থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতারা, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক আন্দোলনের নেতারা, জেলে গিয়েছেন৷ অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

আমরা আমাদের চতুর্থ স্তম্ভে বহুবার, বহুবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি৷ বহু প্রসঙ্গে উঠে এসেছে এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিষয়৷ গত ১৬ জুলাই, ২০২১ এ বিস্তৃত আলোচনা করেছিলাম, দাবি জানিয়েছিলাম, এই দানবীয় আইন তুলে নেওয়া হোক৷ সেদিন যা বলেছিলাম, তার কিছু অংশ, ‘আসলে রাষ্ট্র হল এমন এক ব্যবস্থা, এমন এক কাঠামো, যার মাথায় বসা প্রত্যেক শাসক, তার বিরোধিতা কে, রাষ্ট্রের বিরোধিতা হিসেবেই দেখাতে চায়, শাসক নিজেকে রাষ্ট্র বলেই মনে করে, তার সামান্যতম বিরোধিতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবেই দেখতে চায় দেখাতে চায়। রাজা বলছে, পৃথিবী স্থির, সূর্য তার চার পাশে ঘুরছে। বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক বলছে, না, সূর্য স্থির, পৃথিবী ঘুরছে। সে রাষ্ট্রদ্রোহী। রীতিমতো বিচার করে তাকে জেলে পোরা হবে৷ তাঁর হাতে হেমলক দিয়ে বলা হবে, নাও পান কর, মৃত্যুদণ্ড। সে রাষ্ট্র ক্রমশ আধুনিক হয়েছে, যত আধুনিক হয়েছে, তত বর্বর হয়েছে। সে ছলে বলে কৌশলে অন্য দেশ দখল করে৷ সে রাষ্ট্রের পরিচালনার দায় নিয়েছে, আসলে এক নির্মম শোষণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব, এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিটা উচ্চারণকে নির্মূল করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইন করেছে।

আমাদের দেশে সে আইন আনে ব্রিটিশরা, সম্রাট, বাদশাহ, নবাবরা আইন ছাড়াই কোতল করত৷ সুসভ্য ব্রিটিশ জাত আইন এনে কোতল করার রাস্তা বের করল। ১৮৬০ এ ব্রিটিশরা তৈরি করলো আইন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইন ১২৪ এ, মাথায় রাখুন ১৮৫৭ তে সিপাহী বিদ্রোহ দমন করেছে তারা নিষ্ঠুরভাবে৷ প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের গাছের ডালে ফাঁসি দিয়েছে৷ গ্রামের পর গ্রাম আগুন লাগিয়েছে৷ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সামান্যতম যোগাযোগ থাকার অভিযোগে, জেলে পোরা হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। কিন্তু সেই অত্যাচারকে আইনের চেহারা দিতে, ব্রিটিশরা রাষ্ট্রদ্রোহিতার যে আইন এনেছিল৷ স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরে সেই আইনে এই মুহূর্তে সারা দেশে গ্রেফতার হয়ে, জেলে আছেন, কম করেও দু লক্ষ মানুষ, ওই একই আইন, একই ধারায়।

ব্রিটিশরা এই আইন তৈরি করার কিছুদিনের মধ্যেই, সবচেয়ে বড় আঘাত এল কোথায়? সংবাদ মাধ্যমের ওপর। বঙ্গবাসী পত্রিকায় যোগেন্দ্র সুন্দ্র বোসের লেখার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা আনা হয়, সে মামলা বহুদিন চলে, যোগেন্দ্র চন্দ্র বোসকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হয়। ১৮৯১ এর পর, আবার বড় রকমের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয় বাল গঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধে, ১৮৮৯ এ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উত্তেজনামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে, ১৯০৯ এ আবার একই ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আনা হয়৷ এবার ‘পাঞ্জাব কেশরী’ নামে এক পত্রিকায় লেখার জন্য৷ মামলা চলে, ওনাকে জেলে থাকতে হয়৷ কিন্তু শেষমেষ জনমতের চাপে ওনাকে ছাড়তে হয়৷ তার মধ্যেই তিনি বেশ কয়েকমাস জেল খেটে ফেলেছেন। ওই একই আইনে, গান্ধীজি, নেতাজি, ভগত সিং, নেহরু, আজাদ, প্যাটেলকেও জেলে যেতে হয়৷ একই আইনে পরাধীন ভারতবর্ষে বহু মানুষকে জেলে যেতে হয়, তারমধ্যে জয়প্রকাশ নারায়ণ থেকে, কমিউনিস্ট পার্টির মুজফফর আহমেদ ইত্যাদি তাবড় তাবড় নেতাদের নামও আছে, বহু সাধারণ মানুষ কেও ওই একই আইনে জেলে পোরা হয়।

এরপর দেশ স্বাধীন হল, কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহিতার ওই আইন থেকেই গ্যালো, স্বাধীন ভারত বর্ষে ফরওয়ার্ড কমিউনিস্ট পার্টির কেদারনাথ সিং কে, ১৯৬২ তে ওই আইনে গ্রেফতার করা হয়। সে মামলা বহুদিন চলে, কেদারনাথ সিং মানুষ খুন করেননি, ভাষণ দিয়েছিলেন, অভিযোগটা শুনুন, “That you on 26th day of May, 1953 at village Barauni, P. S. Taghra (Monghyr) by speaking the words, to wit, (a) To-day the dogs of the C. I. D are loitering round Barauni. Many official dogs are sitting even in this meeting. The people of India drove out the Britishers from this country and elected these Congress goondas to the gaddi and seated them on it. To-day these Congress goondas are sitting on the gaddi due to mistake of the people. When we drove out the Britishers, we shall strike and turn out these Congress goondas as well. These official dogs will also be liquidated along with these Congress goondas. These Congress goondas are banking upon the American dollars and imposing various kinds of taxes on the people to-day. The blood of our brothers- mazdoors and Kishanas is being sucked. The capitalists and the zamindars of this country help these Congress goondas. These zamindars and capitalists will also have to be brought before the peoples court along with these Congress goondas.

২৬ মে, ১৯৫৩ তে মুঙ্গেরের তাঘরা গ্রামে তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন যে ব্রিটিশরা চলে গিয়েছে, কিন্তু তাদের পোষা কুকুরদের রেখে গিয়েছে, তারা আমাদের দেশে শোষণ চালাচ্ছে, কংগ্রেসি গুন্ডারা দেশের শ্রমিক, কৃষকদের শোষণ করছে, তাদেরকে উৎখাত না করতে পারলে আসল স্বাধীনতা অর্জন করা যাবে না। মাথায় রাখুন, তখন দেশে কংগ্রেসি শাসন চলছে, তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ও এই অভিযোগ বহাল রাখে।

১৯৮৪, ৩১ অক্টোবর, বলবন্ত সিং আর ভূপিন্দর সিংকে চন্ডিগড়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়৷ তারা খলিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছিল, তার স্বপক্ষে ভাষণও দিচ্ছিল, কিন্তু পঞ্জাব হাইকোর্টে মামলা খারিজ করে দেয়, তাঁদের বক্তব্য ছিল, ১৯ এ বি ধারায় দেওয়া সংবিধানের মৌলিক অধিকার, প্রত্যেক নাগরিকের স্বাধীন মত প্রকাশকে মৌলিক অধিকার বলে মেনে নিয়েছে৷ অতএব যতক্ষণ না কেউ হিংসার পথ নিচ্ছে, হিংসা ছড়াচ্ছে ততক্ষণ কেবল মতপ্রকাশকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলা হবে না। বিচারপতিরা সেই ১৯৯৫ সালেই, এই আইন বহাল রাখার বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই স্বাধীন দেশের বহু মানুষকে সিডিশন আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে, শাস্তি দেওয়া হয়েছে, কেবল সিডিশন আইন কেন? আরও সাংঘাতিক আইন এসেছে, এসমা, নাসা, ইউএপিএ আইনে লক্ষ লক্ষ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কে বাদ গিয়েছে? বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র, যুবক, সাংবাদিক, লেখক, কবি এমন কী ওকালতি করেন এমন মানুষ জনকেও জেলে পোরা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের শাস্তি ও দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু গত সাত বছর সে চেহারার আমূল পরিবর্তন হয়েছে, সামান্যতম বিরোধিতা দেখলেই সিডিশন আইন লাগু করা হচ্ছে৷ সাংবাদিক বিনোদ দুয়া, লেখিকা অরুন্ধুতি রায় থেকে কে নয়? ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে, কেবলমাত্র ২০১৬ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইন, ১২৪ এ তে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়েছে ১৬০%, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন ১৬০%, এবং মজা হল আগে এই আইনে শাস্তি পেত মোট দায়ের করা অভিযুক্তদের ৩৩% এর বেশি, এখন তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩.৩৩%। তার মানে এখন এই আইন লাগু করা হচ্ছে, বা এই আইনে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে হ্যারাস করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য। কারা করছে? সেই আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক শাখা বিজেপি, যারা নিজেরাই ছিল বিশ্বাসঘাতক, যারা ইংরেজদের কাছে বিক্রি করেছিল তাদের বিবেক বুদ্ধি, সারা দেশ যখন ইংরেজ ভারত ছাড় স্লোগান দিচ্ছে, তখন তারা লিখিত ভাবে ইংরেজ শাসকদের জানিয়েছিল, ওই সত্যাগ্রহীদের ধরিয়ে দিতে তারা যা যা করার তাই করবে। সেই তারা, যারা মহাত্মা গান্ধীকে খুন করেছিল, খুনের চক্রান্তে জড়িত ছিল, সেই তারা আজ প্রতিটি বিরোধিতাকেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে মনে করে৷ কিন্তু চাকা ঘুরছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি বললেন, এই ধারা এখনও কেন আছে? যে ধারায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই ধারা রেখে দেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়?

আসলে যে কোনও আটক আইন, যে কোনও কালা কানুনের বিরুদ্ধে আজ জনমত তৈরি করা দরকার, কেবল সিডিশন নয়, ইউএপিএ-র মত আইন নিয়েও ভাবতে হবে, অন্তত একটা নূন্যতম দাবি তো করাই যায়, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচিতে, তাদের নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে পরিষ্কার করে লিখুন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে সিডিশন ল, ইউএপিএ র মত আইন প্রত্যাহার করবেন৷ এই দাবি ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে চুপ করানোর চেষ্টা বন্ধ হোক। সেদিন, এই আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন চিফ জাস্টিস রামান্না, আজ ৯ মাস পরে সুপ্রিম কোর্ট ১২৪ এ ধারাকে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেন, এ নিয়ে টালবাহানা চলছিল৷ মোদি সরকার বিভিন্ন কথা বলে সময় নিচ্ছিলেন, মাথায় রাখুন চিফ জাস্টিস রমান্না অবসর নেবেন অগস্টে৷ কিন্তু সরকারকে সময় না দিয়েই, আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ এল, সঙ্গে সঙ্গেই কড়া প্রতিক্রিয়া আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুর৷ তিনি বলেন, কেউ যেন লক্ষণ রেখা পার করার চেষ্টা না করে৷ প্রকারান্তরে তিনি কি সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে, লক্ষণরেখা পার করার সঙ্গে তুলনা করলেন? আসুন দেখা যাক কে বা কারা লক্ষণ রেখা পার করেছে।

প্রথমত এই আইন নতুন নয়, ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রামী, সে অহিংসপন্থীই হোন বা সশস্ত্র বিপ্লবী, তাঁদের বিরুদ্ধে এই ধারার প্রয়োগ হয়েছে, স্বাধীনতার পর হরেক রংয়ের সরকার, হরেক কিসিমের সরকার, বাম সমর্থিত জোট সরকার, বাম সরকার, দক্ষিণপন্থী সরকার, জনতা দলের সরকার এই ধারার প্রয়োগ করেছে, কংগ্রেস তো করেইছে, গতকাল এই নির্দেশ আসার পরে রাহুল গান্ধী আর ওই সুরযেওয়ালার প্রতিক্রিয়া শুনে মনে হচ্ছিল, ওঁরা সব দেবশিশু৷ তা তো নয়, দীর্ঘ কংগ্রেস শাসনে বহুবার, বহুবার অকারণে এই আইনের ব্যবহার হয়েছে, এটা তো ঘটনা। মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির মুখ্যমন্ত্রীরা অবলীলায় দেশদ্রোহিতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইন চাপিয়েছেন, কিন্তু আরএসএস–বিজেপির সরকার মোদিজীর সরকার, যোগীজির সরকার এ বিষয়ে রেকর্ড তৈরি করেছে, এই সাড়ে সাত বছরে, সাত হাজারের বেশি মানুষকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৩২৬ টা মামলার, মাত্র ১৪১ টা তে চার্জশিট দেওয়ার পরে, দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৬ জন। ইউ পি এ ১ আর ইউ পি এ ২ এর তুলনায়, মোদী জামানায় এই আইনে অভিযুক্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৮%, মানে হঠাৎ করে আরএসএস – বিজেপি জামানায় দেশে হু হু করে রাষ্ট্রদ্রোহী বাড়ছে৷ ১৪৯ জনের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে কারণ, তাঁরা মোদিজির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, ফেসবুকে লিখেছেন, টুইট করেছেন৷ আর ১৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা যোগীজির বিরোধিতা করেছেন৷ আসলে দেশ, রাষ্ট্র, সরকার আর সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে সমানার্থক শব্দ বলে ঘোষণা করা হচ্ছে৷ মোদিজির বিরোধিতা মানে সরকারের বিরোধিতা মানে রাষ্ট্রের বিরোধীতা মানে দেশদ্রোহিতা, সরল অংক। কারা করছেন? যারা স্বাধীনতার আন্দোলনের সময় ইংরেজদের সহযোগিতা করার মুচলেকা দেওয়া সাভারকারের শিষ্য, যারা ৪২ এর ভারত ছাড় আন্দোলনে ইংরেজদের পক্ষে ছিল, সেই আরএসএস, যারা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে চিহ্নিত বিশ্বাসঘাতক, যারা জাতির জনক গান্ধী হত্যাকারী, সেই তারা আজ দেশের ক্ষমতায়, তারা প্রয়োগ করছেন এই আইন, দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতকেরা বলছে, এই যে শুনুন, আপনি দেশদ্রোহী, সুপ্রিম কোর্ট সেইখানে একটা লাগাম দিয়েছে, তার চেয়ে বেশি কিছু নয়।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬
১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩
২৪ ২৫ ২৬ ২৭২৮ ২৯ ৩০
৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজত চারদিন বাড়াল আদালত
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
আগামী ২ দিনে ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছবে তাপমাত্রা, কী বলছে মৌসম ভবন
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
অসাবধানতাবশত বন্ধুর গুলিতে মৃত্যু যুবকের
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
ঋষভ পন্থকে নিয়ে কী আপডেট দিলেন সৌরভ?
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা, অভিজিতের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
দেওয়াল লিখনে হাত,নাবালককে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
কংগ্রেস কার্যালয়ে সমাজবিরোধী রয়েছে, অভিযোগ বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
বাজারের ব্যাগ হাতে নির্বাচনী প্রচারে হিরণ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
হার্দিককে পাল্টা দিলেন রোহিত!
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
ইডির একমাত্র লক্ষ্য আমায় ফাঁদে ফেলা, আদালতে বললেন কেজরিওয়াল
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতার খোঁজে পাথর খাদানে পুলিশ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবিতে মামলা খারিজ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
চুপিসারে মন্দিরে বিয়ে সারলেন সিদ্ধার্থ-অদিতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩১)
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
অবসর নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন লিওনেল মেসি?
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team