Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ : সার্কাসের জোকার
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২, ১১:৩৯:৪৯ পিএম
  • / ৪৪৪ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

বিভিন্ন সমস্যা, ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত, জিনিষপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দাম, বেকারত্ব ইত্যাদির মধ্যে আপনি যখন দিশেহারা, বহুলোক কিছুটা হলেও হতাশ, তখন সার্কাসের জোকারের মত কিছুটা হাস্যরস নিয়ে হাজির আমাদের রাজ্যের রাজ্যপাল ধনখড় সাহেব৷ সেই গাঁয়ে না মানে আপনি মোড়ল হাজির।

৪০/৫০ দশকের বটতলার নভেলে পরিবারে এক বিধবা পিসি থাকত৷ তাঁর কাজ ছিল সংসারে আগুন ধরানো৷ সক্কালে উঠেই সেই কাজে লেগে পড়তেন তিনি৷ আমাদের রাজ্যপাল সাহেবকে সেই পিসিদের সঙ্গেও তুলনা করাই যায়। কেন বিরোধী নেতা কাঁথির খোকাবাবুকে বিরোধী দলের নেতা বলা হয়নি? কেন তাঁকে কেবল বিধায়ক বলা হয়েছে? তাই নিয়ে দু’পাতা খরচ করেছেন। গঙ্গাসাগরের মেলা কেমন হবে তাই নিয়ে কথা বলছেন৷ অবান্তর কথা বলেই চলেছেন৷ অথচ এই সময়ের মধ্যে তিনি একবারের জন্যও রাজ্যের ওমিক্রন আক্রান্তদের নিয়ে, বাড়তে থাকা জিনিষপত্রের দাম নিয়ে বা বেকারত্ব নিয়ে একটা কথাও বলেননি৷ কেবল ফোড়ন কাটছেন, আমরা দেখছি।

এমনিতে কিছুই বলার ছিল না যদি না তেনার যাবতীয় খরচ খরচার ভার রাজ্যবাসীর ওপরে না থাকত।  আগে একবার বলেছিলাম, আবার মনে পড়ে গেল, আত্তুক্কু থ্যাডিয়াম, নাত্তুক্কু গভর্নারম থেভাইল্লাই। বলেছিলেন ডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে সব্বাই শ্রদ্ধা করতো সেই সি এন আন্নাদুরাই। তামিল ভাষায় এই কথার মানে হল, ছাগলের দাড়ি ছাগলের জন্য জরুরি নয়৷ রাজ্যপাল পদটিও দেশের জন্য জরুরি নয়। কখন বলেছিলেন? ১৯৫২ তে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির গভর্নর শ্রীপ্রকাশ, সংখ্যালঘু কংগ্রেস দলের নেতা চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীকে সরকার তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷  রাজাগোপালাচারিজি তখন, এমন কি নির্বাচিত বিধায়কও ছিলেন না। রাজ্যপাল শ্রী প্রকাশ তার আগে কংগ্রেস দলের হয়েই বিভিন্ন সরকারি পোস্টে ছিলেন, এবং এসবের ফলাফল কী হলো? তামিলনাড়ু থেকে কংগ্রেস দলটাই উঠে গেল।

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস বিরোধী হাওয়াতে ধোঁয়া দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ধরমবীর৷ ধরমবীর গো ব্যাক মুখে মুখে ফিরেছে৷ কংগ্রেস দল কেবল ক্ষমতা হারিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, মানুষের সমর্থন হু হু করে কমেছে সেই তখন থেকে। মানুষ নির্বাচিত করে সরকারকে৷ মুখ্যমন্ত্রী একটা নির্বাচিত পদ৷ সেখানে দিল্লি থেকে একজন এসে পোদ্দারি মারবে, এটা যে কোনও সচেতন মানুষের কাছে অপমানজনক মনে হতে বাধ্য৷ ফলে যা হবার তা হয়েছে। একবার নয়, বহুবার বহু রাজ্যে যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারাই রাজ্যপাল পদের অপব্যবহার করেছে। যার গায়ে লেগেছে তারা তখন বিরোধিতা করেছে, আবার তারাই যখন ক্ষমতায় এসেছে, তখন একই গল্পের পুনরাবৃত্তি।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ : বিজেপির নির্বাচন স্ট্রাটেজি

উদাহরণ প্রচুর আছে৷ আমি বরং মোটাভাই এর উদাহরণটাই দিই। ২০১২,নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি তখন ভাইব্রান্ট গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার, রাজ্যে রাজ্যপাল কংগ্রেসের নেতা কমলা বেনিওয়াল৷ একসময় রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কেন্দ্র সরকার ২৬/১১ র ঘটনার পর National Counter Terrorism Centre তৈরি করেছেন। মোদিজী তাঁর বিরাট প্রতিবাদ করছেন৷ তাঁর বক্তব্য কেন্দ্র সরকার রাজ্যের কাজে দখলান্দাজি করছে, রাজ্যপাল কংগ্রেস সরকারের হয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন৷ আজ্ঞে হ্যাঁ ২০১২, তিনি হুবহু এই কথা বলছেন, “grab power through the backdoor”. পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছেন, মোদী জি বলছেন। তাঁর আশঙ্কা, “It’s a conspiracy to grab power through the backdoor… Already several opposition leaders are in CBI’s dragnet, now they are bringing in NCTC…” ভাবুন একবার, মোদিজী বলছেন, এমনিতেই সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছিল, এখন NCTC আনা হচ্ছে। ডঃ ওম নাগপাল স্মরণে এক সেমিনারে গিয়ে তিনি বললেন, এবং কাগজে ছাপা হলো, Modi also demanded Sarkaria Commission’s report on Centre-state relations and Justice Madan Mohan Punchhi’s report on Centre-state financial relations be implemented.
“A meeting of Inter-state Council should be called immediately, and (it should be) twice a year,” Modi said.
Quoting Punchhi report, he said governors should not be a political person but the Centre, unfortunately, always thrusts on Gujarat not only a political person but someone who had a different political ideology. অর্থাৎ তিনি সারকারিয়া কমিশনের রিপোর্টে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কে যা বলা আছে বা বিচারপতি মদন মোহন পুঞ্চি কমিটির রিপোর্টে যা বলা আছে তা লাগু করার কথা বললেন। কী বলা আছে, বা কী কী বলা আছে তা পরে বলছি৷ কিন্তু ভাবুন মোদিজী বলছেন সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশ লাগু করতে হবে। তিনি বলছেন আর্ন্ত রাজ্য কাউন্সিলের বৈঠক বছরে অন্তত দুবার করতে হবে। ওই বক্তৃতাতেই আমাদের প্রধান সেবক নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি বলছেন যে পুঞ্চি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যপাল হিসেবে একজন রাজনৈতিক, মানে রাজনীতির মানুষকে কখনোই মনোনীত করা উচিত নয়, কিন্তু কেন্দ্র আমাদের ওপর আমাদের বিরোধী রাজনীতির একজনকে চাপিয়ে দিচ্ছে। অবাক হবেন না৷ এগুলো বলছেন নরেন্দ্র মোদি।

এবার সিনেমার নেক্সট সিন৷ মোদিজি প্রধানমন্ত্রী৷ রাজ্যে রাজ্যে রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছে, প্রতিটা নিযুক্তি রাজনৈতিক শুধু নয় ১০০% দলের, আরএসএসের লোকদের পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল হিসেবে। তাঁরা রাজ্যে গিয়ে একটাই কাজ করছেন৷ সেখানকার বিজেপি দলের হেডকোয়ার্টারের কাজ। ওখান থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, সরকার ভাঙার পরিকল্পনা হচ্ছে, ভাঙা হচ্ছে। মোদিজী মিথ্যে বলেন, ডাহা মিথ্যে বলেন আবার প্রমাণিত, তিনি মিথ্যেবাদী।

আসলে শুরু থেকেই রাজ্যপাল পদটি ওই রামছাগলের দাড়ির মতই অনাবশ্যক৷ একে কেবলমাত্র, কেন্দ্রে শাসক দলের ইচ্ছেমত কাজে লাগানোই হল, আসল উদ্দেশ্য। কিছুটা লোকাল থানার খোঁচড়দের মত এই পদকে ব্ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের দিয়ে অনাবশ্যক বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে, ধনখড় তার ব্যতিক্রম নয়। তিনিও ডে ওয়ান থেকে যা করতে বলা হয়েছে তাই মন দিয়ে করে যাচ্ছেন। কখনও হেলিকপ্টার চাইছেন, কখনও জোর করেই সমাবর্তনের বিশেষ অতিথি, কখনো চিঠি লিখে, কখনও প্রেসের কাছে মুখ খুলতে গিয়ে দাঁত খুলে যাচ্ছে।

দেশের প্রধানমন্ত্রী কত বড় মিথ্যে বলছেন একবার ভাবুন৷ তিনি ২০১২ তে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বছরে অন্তত দুবার ইন্টার স্টেট কাউন্সিল এর বৈঠক দাবি করেছিলেন, এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন ২০১৪ তে, হিসেব মত এতদিনে ২০২০ বাদ দিলেও ১১ টা বৈঠক হবার কথা, যেখানে রাজ্য তার বক্তব্য রাখবে, কেন্দ্র তা শুনবে, আলোচনার ভিত্তিতে দেশ চলবে। মোদির ২০১৪ থেকে আজ অবধি ২ টো INTER STATE COUNCIL এর বৈঠক হয়েছে,  একটা ১৬ জুলাই, ২০১৬, অন্যটা ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ব্যস। তারপর থেকে তিনি বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আর দেশের রাজ্যে রাজ্যে নিযুক্ত হয়েছে তথাগত রায়, ধনখড় এর দল। মোদিজী তখন বলেছিলেন, দাবি করেছিলেন যে রাজ্যপাল, রাজনীতিবিদদের থেকে বাছা উচিত নয়, আসুন দেখা যাক বিজেপি আমলে কাদের রাজ্যপাল করা হল।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ

উত্তরাখন্ড – কদিন আগেই রাজ্যপাল ছিলেন, বেবি রানী মৌর্য আগ্রার মেয়র, বিজেপি দলের ক্যান্ডিডেট ছিলেন, বিজেপির যে সিডিউল কাস্ট শাখা আছে, ইনি তার নেত্রী ছিলেন। তাঁর বদলে কিছুদিন আগে আনা হল রিটায়ার্ড লেফট্যানান্ট জেনারেল গুরমিত সিং কে। উত্তরাখন্ড এ প্রায় ১.৮ লক্ষ পরিবার আছে যারা সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন বা কর্মরত অবস্থায় মারা গেছেন ৩৫ হাজার প্যারামিলিটারি ফোর্সের মানুষজন আছে, নির্বাচনের আগে তাই একজনকে আনা হল, যাতে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায়।

ইউপি – আনন্দি ভাই প্যাটেল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, দলের ক্যাচাল সামলাতে এনাকে রাজ্যপাল করা হয়। আপাতত অমিত শাহের নির্দেশেই রাজভবন চলছে।

ত্রিপুরা – সত্যদেব নারায়ণ আর্য, বিহারের বিজেপি নেতা, খনি মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন, রাজগীর থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, প্রথমে হরিয়ানায়, পরে ত্রিপুরাতে রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়।

তেলেঙ্গানা – তামিসিল্লাই সৌন্দররাজন, তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন, দলের জাতীয় অধ্যক্ষও ছিলেন।

সিকিম – গঙ্গা প্রসাদ। জনসংঘের পুরনো নেতা, বিহারে লিডার অফ অপোজিশন ছিলেন।

রাজস্থান – কলরাজ মিশ্রা বিজেপির নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।

পঞ্জাব – বনোয়ারিলাল পুরোহিত, বিজেপির নাগপুর থেকে সাংসদ ছিলেন।

ওডিশা – গণেশি লাল, হরিয়ানায় বিজেপি মন্ত্রী ছিলেন।

নাগাল্যান্ড – জগদীশ মুখি, আর এস এস প্রচারক এবং বিজেপির নেতা, দিল্লিতে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ও ছিলেন, দিল্লিতে নির্বাচন হারার পরে তিনি রাজভবনে পুনর্বাসন পান।

মেঘালয় – সত্যপাল মালিক, জনতা দল, সমাজবাদী দল ঘুরে ২০১২ তে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, মাত্র ৫ বছর পরেই প্রথমে বিহার, তারপর জম্মু কাশ্মীর, শেষে মেঘালয়ের রাজ্যপাল হন। কিন্তু ইদানিং বেসুরো গাইছেন।

মণিপুর – লা গনেশন, তামিলনাড়ুর সিনিয়র বিজেপি নেতা, রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মহারাষ্ট্র – ভগত সিং কোশিয়ারি আরএসএস-এর নেতা, বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি।

এমপি – মাঙ্গুভাই সি প্যাটেল, গুজরাটে বিজেপির প্রবীন জাতীয় নেতা, গুজরাটে মন্ত্রী ও স্পিকার হয়েছিলেন। ।

কেরল – আরিফ মহম্মদ খান, কংগ্রেস থেকে বি এস পি হয়ে বিজেপি।

কর্ণাটক – থাওর চাঁদ গেহলট, বিজেপির নেতা, রাজ্য সভার সদস্য ছিলেন, মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর থেকে লোকসভারও সদস্য ছিলেন।

ঝাড়খণ্ড – রমেশ বাইস অটল বিহারী মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী ছিলেন।

হিমাচল প্রদেশ – রাজেন্দ্র আরলেকর, গোয়াতে বিজেপি সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন।

হরিয়ানা – বন্দারু দত্তাত্রেয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা, সাংসদ ছিলেন, মন্ত্রীও ছিলেন।

গুজরাট – আচার্য দেবব্রত, রামদেব ঘনিষ্ট ইনি আর্য সমাজের প্রচারক।

গোয়া – পি এস শ্রীধরণ পিল্লাই, কেরালা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন।

ছত্তিসগড় – অনুসূয়া উইকি বিজেপি নেত্রী, সিডিউল কাস্ট শাখার দায়িত্বে ছিলেন।

বিহার – ফাগু চৌহান, বিজেপি এম পি, উত্তরপ্রদেশ

অসম – জগদীশ মুখি আর এস এস , বিজেপির নেতা, দিল্লি বিধানসভায় মন্ত্রীও ছিলেন।

অরুণাচল প্রদেশ – বি ডি মিশ্রা, বিজেপি ঘনিষ্ট, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার।

 অন্ধ্র প্রদেশ – বিশ্বভুবন হরিচন্দন উড়িষ্যার বিজেপি নেতা, মন্ত্রী ও ছিলেন।

এবং পশ্চিমবঙ্গে ধনখড়, ইনি সেই অর্থে বিজেপি তে সদ্য আগত,    বছর পাঁচেক আগে দল পাল্টিয়েছেন, তাই এনার বেশি রকমের বিজেপি হবার চেষ্টা আছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী ডাহা মিথ্যে বলেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ একটা রাজ্যেও বিজেপি নেতা ছাড়া এমন কি শরিক দলেরও কাউকে রাজ্যপাল করা হয়নি। রাজ্যপাল আসলে কেন্দ্রে শাসক দলের প্রতিনিধি৷ রাজ্যে তাদের পাঠানোই হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। সংবিধানে কি বলা আছে বাদ দিন, এই তালিকাই বলে দিচ্ছে, রাজ্যপালেরা মনোনীত প্রতিনিধি, যারা দলের কথা শুনে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেমনটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকে মাসে ১০০০/২০০০ পাওয়া হাওয়াই চটি পরা পুলিশের খোঁচড়েরা।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: বিকাশের গপ্পো……

অথচ যে সারকারিয়া কমিশনের কথা তখন বিজেপি নেতা নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি বলেছিলেন, যে কমিশনের সুপারিস তিনি লাগু করতে বলেছিলেন, সেই কমিশন রাজ্যপালের চয়ন মনোনয়ন নিয়ে কী বলেছিল?
(i) should be an eminent person;
(ii) must be a person from outside the State;
(iii) must not have participated in active politics at least for some time before his appointment;
(iv) he should be a detached person and not too intimately connected with the local politics of the State;
(v) he should be appointed in consultation with the Chief Minister of the State, Vice-President of India and the Speaker of the Lok Sabha;

এর একটাও মানা হয়নি, হয় না। প্রতিটা কমিটি বলেছে, সুপারিশ করেছে যে রাজ্যপাল নিয়োগের আগে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করাটা প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যপাল চাপিয়ে দেওয়াটাই দস্তুর, এবং তিনি এসেই বিরোধী দলের মন্ত্রীসভা থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে খড়কে কাঠি নিয়ে বসবেন, এটাও দস্তুর। তা না হলে একজন রাজ্যপাল একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন তিনি মানে মুখ্যমন্ত্রী নাকি খুল্লম খুল্লা সংখ্যালঘু তোষণ করছেন। কী থেকে বুঝলেন? কোথায় প্রমাণিত হল? কিসের ভিত্তিতে বললেন? এইরকম কিছু উক্তি শুনেই কি সি এন আন্নাদুরাই বলেছিলেন, আত্তুক্কু থ্যাডিয়াম, নাত্তুক্কু গভর্নারম থেভাইল্লাই।  ছাগলের দাড়ি ছাগলের জন্য জরুরি নয়, রাজ্যপাল পদটিও দেশের জন্য জরুরি নয়।

এর বহু আগে রাজ্যপাল পদটাকে সাদা হাতি বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন পদ্মজা নাইডু। সাদা হাতিতে আপত্তি নেই আমাদের, আমাদের আপত্তি আমাদের পয়সায় সাদা হাতি পোষা হচ্ছে, সেটা বন্ধ হোক।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬
১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩
২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮২৯ ৩০
৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

বিজেপির প্রার্থী রেখা স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা নিচ্ছেন, তথ্য প্রকাশ তৃণমূলের
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
তৃণমূল-বিজেপি প্রার্থী একযোগে বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানাল কমিশনে
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
প্রতারণা চক্রের ফাঁস, পাণ্ডা সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
শিবসেনার শিণ্ডে শিবিরে যোগ গোবিন্দার
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
মঙ্গলের চারপাশে ২৫,০০০ চক্কর দিল মার্স এক্সপ্রেস
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
কোতুলপুরে প্রচারে সৌমিত্র, কর্মীদের সঙ্গে খেলেন চপমুড়ি
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজত চারদিন বাড়াল আদালত
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
কৃষ্ণনগরের রানিমাকে মোদিজি আসলে কী বলতে চাইলেন?  
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
আগামী ২ দিনে ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছবে তাপমাত্রা, কী বলছে মৌসম ভবন
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
Fourth Pillar ।| এবারে কি মহুয়া মৈত্রকে জেলে পোরা হবে?
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
অসাবধানতাবশত বন্ধুর গুলিতে মৃত্যু যুবকের
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
ঋষভ পন্থকে নিয়ে কী আপডেট দিলেন সৌরভ?
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা, অভিজিতের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team