প্রতিটি মানুষেরই কি একই চেহারার অন্য মানুষ থাকে? এ বিষয়ে সবার কৌতুহল থাকলেও গবেষণা করার কথা এখন পর্যন্ত কেউ চিন্তা করে করেনি। পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের চেহারা নির্ভর করে বাবা-মায়ের থেকে পাওয়া ডিএনএ, জিন, ক্রোমোজোম এর উপর। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর থেকে এর প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়। একজন পুরুষের শরীরে কয়েক মিলিয়ন রকমের শুক্রানু ও নারীর শরীরে কয়েক মিলিয়ন রকমের ডিম্বানু তৈরী হতে পারে।
মিলনের সময় যেকোন একটি শুক্রানুর সাথে যেকোন একটি ডিম্বানু নিষিক্ত হয়ে বাচ্চার জন্ম হতে পারে। কয়েক মিলিয়ন শুক্রাণু এবং কয়েক মিলিয়ন ডিম্বাণু মিলিত হয়ে কয়েক ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন চেহারার শিশুর জন্ম হতে পারে। প্রত্যেক শিশুর সাথে তার আত্মীয়দের চেহারার মিল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু একেবারে ভিন্ন প্রান্তের সাতজনের সাথে হুবহু একইরকম চেহারা! এও কী সম্ভব?
আরও পড়ুন: Youtube | ঠিক কত ভিউ হলে ইউটিউবে আয় করা যায়?
একই ধরনের দেখতে দুজন মানুষকে বলা হয় ডোপেলগ্যাঙ্গার। এদের মধ্যে জৈবিক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও এদের চেহারায় অদ্ভুত মিল পাওয়া যায় এদেরকে আবর ‘Evil Twin’ ও বলা হয়ে থাকে। ডোপেলগ্যাঙ্গার হওয়ার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন কোনও জাতি বা গোষ্ঠীতে সকলের ডিএনএ এর মাঝেই কিছু মিল থাকায় পৃথিবীতে একই চেহারার ৭ জন মানুষ আছে।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, একটি মানুষকে ঠিক কেমন দেখতে হবে তা নির্ভর করে ডিএনএ এর উপর। জেনেটিক ক্রসিং ওভার এর জন্য মানুষের চেহারা, আচরণগত পার্থক্য দেখা যায়। তাই হুবহু একই ধরনের দেখতে ৭ জন মানুষ থাকার কোনো সম্ভবনা নেই বললেই চলে।