বার্মিংহ্যাম: অ্যাশেজ সিরিজের (Ashes Series) প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে (England) দুই উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া (Australia)। রুদ্ধশ্বাস পঞ্চম দিনে হারের মুখ থেকে দলকে বৈতরণী পার করিয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins), তাও ব্যাট হাতে। ইংল্যান্ডের হারের পরেই সর্বত্র আলোচনা চলছে, তাহলে তাদের ‘বাজবল ক্রিকেট’ (Bazball Cricket) হার মানল প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেটের কাছে। রক্ষণশীলরা উল্লসিত, অন্যদিকে বাজবলের ভক্ত হয়ে ওঠা সমর্থককুল এখনও হার মানতে চাইছেন না। ঠিক কোন জায়গায় হারল ইংল্যান্ড? গোটা টেস্ট ম্যাচ জুড়ে এগিয়ে ছিলেন বেন স্টোকসরা (Ben Stokes), এমনকী পঞ্চম দিনের প্রায় পুরোটাই তাঁরাই ফেভারিট ছিলেন। তাহলে হার হল কেন?
প্রথমত, চতুর্থ ইনিংসে উসমান খোয়াজার (Usman Khawaja) দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই। প্রথম ইনিংসে ১৪১ করার পর মনোবল তুঙ্গে ছিল তাঁর। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর উপর অনেক কিছু নির্ভর করছিল। হতাশ করেননি খোয়াজা। ওয়ার্নারকে নিয়ে নতুন বলের পালিশ তুলে দিয়েছেন। ওপেনিং জুটিতেই উঠেছে ৬১ রান। এই জয়ের অনেকটা অবদান তাঁর।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo | দেশের হয়ে ২০০তম ম্যাচ! গিনেস বুকে নাম লেখালেন রোনাল্ডো
দ্বিতীয়ত, কামিন্সের ব্যাটিং। বল হাতে কত ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কথা বলল তাঁর ব্যাট। অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যখন কামিন্স ব্যাট করতে নামেন, জিততে তখনও ৭২ রান চাই। এজবাস্টনের (Edgbaston) দর্শক প্রতিটা বলে ইংলিশ বোলারদের উৎসাহ দিচ্ছে, নার্ভাস করছে অজি ব্যাটারদের। কিন্তু নিজ দক্ষতার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে অবিচল থেকে গেলেন কামিন্স। করলেন অপরাজিত ৪৪, যা সম্ভবত তাঁর জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ৪৪ রান।
Good morning Australia, we’ve got some pretty good news for you ?#Ashes pic.twitter.com/kRgNnusl38
— Cricket Australia (@CricketAus) June 20, 2023
তৃতীয়ত, মইন আলির চোট (Moeen Ali)। পঞ্চম দিনের উইকেটে বল বেশ ঘুরছিল। এ অবস্থায় অফস্পিনার মইন আলি হয়ে উঠতে পারতেন তুরুপের তাস। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে যখন চারজন বাঁ হাতি ব্যাটার। কিন্তু চোট পেয়ে গেলেন মইন। অফস্পিনারদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আঙুল তর্জনীতেই লাগল চোট। ব্যথার চোটে ঠিক জায়গায় বলই রাখতে পারলেন না তিনি। বাধ্য হয়ে পার্টটাইম অফস্পিনার জো রুটকে (Joe Root) নিয়ে এলেন স্টোকস। রুট একটা উইকেটও নিলেন। কিন্তু যতই হোক, স্পেশ্যালিস্ট স্পিনার তিনি নন। এই জায়গাতেই প্রধানত ম্যাচটা হারল ইংল্যান্ড।
চতুর্থত, তৃতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। বাজবল ক্রিকেট মানে ভয়ডরহীন ক্রিকেট কিন্তু জ্ঞানহীন ক্রিকেট নয়। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে রুট এবং ব্রুক দুজনেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন। ইংল্যান্ডের উচিত ছিল যেভাবে হোক ৩০০ রানের টার্গেট খাড়া করা। কেউ কেউ প্রথম ইনিংসে ৩৯৩ রানে ডিক্লেয়ার দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে পারে, কিন্তু তাতে বিশেষ কিছুই এসে যায়নি।