বেঙ্গালুরু: চলতি বছরেই বাবা হতে চলেছেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। সাফ(SAFF) চ্যাম্পিয়নশিপের সময়ই বাবা হওয়ার সুখবর সেলিব্রেশনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেই প্রথম সন্তান আসতে চলেছে সুনীল এবং স্ত্রী সোনামের কোলে। সমস্যা হচ্ছে, সেই সময়ে থাইল্যান্ডে কিংস কাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ থেকে কিংস কাপ(Kings Cup) শুরু হচ্ছে থাইল্যান্ডে। সূত্রের খবর, পরিবারের পাশে থাকতে সেসময় ছুটি চাইতে পারেন ভারতী অধিনায়.ক সুনীল ছেত্রী। এআইএফএফ (AIFF) এর কাছে আবেদন জানাতে চলেছেন তিনি।
সুনীল নিজেও ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, সেপ্টেম্বর মাসটা তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে কিংস কাপে সুনীলকে ভারতীয় দলে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ এই সিদ্ধান্ত অধিনায়কের উপর ছাড়তেই চাইছেন। তবে এখনও পর্যন্ত সুনীলের ছুটি মঞ্জুর না হওয়ায়, তাঁকে রেখেই কিংস কাপের জন্য দল সাজানো হচ্ছে। ভারতীয় অধিনায়ক যদি থাইল্যান্ড না যেতে চান, সেক্ষেত্রে অন্য অপশান বেছে নেবেন স্টিমাচ।
ভারতীয় অধিনায়ক তাঁর ক্যারিয়ারে কী কী খেতাব অর্জন করেছেন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:
আমেরিকার মেজর লিগ সকার এবং পর্তুগিজ ফুটবল লিগ
২০০২ সালে মোহবাগান জার্সি গায়ে প্রথম ডেবিউ ম্যাচটি খেলেছিলেন সুনীল ছেত্রী। এরপর তাঁকে আর থামানো যায়নি। ২০১০ সালে আমেরিকার মেজর লিগ সকারে খেলেন ছেত্রী। ২০১২ সালে জায়গা পান পর্তুগিজ ফুটবল লিগেও। স্পোর্টিং সিপির রিজার্ভ দলের হয়ে খেলার সুযোগ আসে ভারতীয় এই ফুটবলারের।
AIFF-এর বর্ষসেরা খেলোয়াড় ছেত্রী
সুনীল ছেত্রী সাতবার অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) -এর বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল(২০০৮-২০০৯), ডেম্পো (২০০৯-২০১০), আইএসএল পক্ষের মুম্বাই সিটি এফসি (২০১৫-২০১৬) মতো ভারতীয় ক্লাবগুলির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বর্তামানে বেঙ্গালুরু এফসির অধিনায়ক তিনি।
সুনীলের ঝুলিতে মেজর ট্রফি
আইলিগ (২০১৪ এবং ২০১৬)
আইএসএল (২০১৯)
সুপার কাপ (২০১৮)।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা
পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসির পরে সুনীল ছেত্রী এখন আন্তর্জাতিক ম্যাচে সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ১৩৫ ম্যাচে ৮৬ গোল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড
ছেত্রীর প্রধান গোল স্কোরিং কৃতিত্বগুলির মধ্যে অন্যতম ২০১১ সালে নয়াদিল্লিতে সাফ কাপের একটি ম্যাচে ৭ গোল করে নজির গড়েছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি কিংবদন্তি আইএম বিজয়নের এক ম্যাচে ৬গোলের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন।