কানপুর: নাটকীয় ম্যাচ|কানপুরের পিচে স্পিনের দাপট দেখা গেল ঠিকই, কিন্তু একটু দেরী হয়ে গেল| শেষ চার ওভারে দরকার ছিল এক উইকেট| জয়ের লক্ষ্যে লড়াইটা হাড্ডহাড্ডি চললেও, নিউজিল্যান্ডের(India vs New zealand) সঙ্গে শেষপর্যন্ত ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল দ্রাবিড়ের দলকে| চা বিরতির পর সুযোগটা এলেও, শেষরক্ষা হল না| প্রথম দুটো সেশনে বোলারদের উইকেট তুলতে না পারার খেসারত ড্র(India Draw) দিয়েই দিতে হল টিম ইন্ডিয়াকে| দিনের শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ৯ উইকেটে ১৬৫|
নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ২৮৪ রান| চতুর্থ দিনই তারা ব্যাট করতে নেমেছিল| সেদিন ওপেনার ইয়ংকে মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অশ্বিন| ১ উইকেটে ৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিন নেমেছিল কিউইরা| ভারতের দরকার ছিল ৯ উইকেট| আর নিউ জিল্যান্ডের ২৮০ রান|
কিন্তু ম্যাচের প্রথম সেশন থেকেই ছিল কিউই ব্যাটরদের দাপট| নাইট ওয়াচম্যান সামালভেলকে নিয়ে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন টম ল্যাথাম| মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত একটিও উইকেট তুলতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা|
মধ্যাহ্নভোজের পর দিনের প্রথম উইকেট টা পান উমেশ যাদব| সামারভেলকে ফেরান তিনি| তবে চাপ কমেনি| উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি বেধে নিউজিল্যান্ডের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা দক্ষতার সঙ্গেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন টম ল্যাথাম| ভারতীয় বোলারদের উদ্বেগটা তাদের চোখে মুখে বারবার ফুটে উঠছিল|
আবারও সেই অশ্বিনই ত্রাতা| চা বিরতির ঠিক আগে অর্ধশতরান করা ল্যাথামকে সাজঘরে ফেরান তিনি| আশাটা জোরালো হয় ভারতের| আর চা বিরতি শেষের পর থেকেই কানপুরের পিচ যেন স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য| পরপর দুই স্পিনারের আক্রমণে বেসামাল নিউজিল্যান্ড| অক্যর পটেলের শিকার নিকোলস| ২৪ রানে উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান অশ্বিন| হঠাত্ই ভারতের জয়ের একটা জোরালো সম্ভাবনা| কিন্তু শেষপর্যন্ত হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল অশ্বিন, রাহানেদের|
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিউ জিল্যান্ডকে অল আউট করতে পারেননি অক্ষর পটেল, অশ্বিন এবং জাদেজারা| কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার দ্রাবিড়ের তত্ত্বাবধানে কানপুর টেস্ট ম্যাচে নেমেছিল ভারত| জয়ের সামনে গিয়েও তা হাতছাড়া| মুম্বইয়ে সিরিজ জয় হয় কিনা সেটাই দেখার|