রটারডাম: ক্লাব ফুটবলের প্রায় সমস্ত ট্রফি জিতেছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) হয়ে একাধিকবার লা লিগা (La Liga), উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UCL) জিতেছেন। এমনকী ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সম্মান ব্যালন ডোর (Ballon d’Or) জিতেছেন। কিন্তু আরও একবার দেশের হয়ে ট্রফি জয় থেকে বঞ্চিত লুকা মদ্রিচ (Luka Modric)। উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনের (Spain) কাছে হেরে গেল তাঁর দেশ ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। ১২০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকার পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে টাইব্রেকারে হারতে হল তাদের। দুটো দুরন্ত পেনাল্টি সেভ করে স্পেনের নায়ক গোলকিপার উনাই সিমোন (Unai Simon)।
২০১৮-র রাশিয়া বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিলেন মদ্রিচ। সে বার কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe) ফ্রান্সের কাছে হারতে হয়েছিল। ২০২২-এর কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। রবিবার রাতে সুযোগ ছিল অনবদ্য ক্লাব কেরিয়ারের পাশাপাশি ট্রফি সহ আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ করার। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। মদ্রিচের বয়স এখন ৩৭, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। টেনেটুনে হয়তো ২০২৪ ইউরো কাপ খেলতে পারেন। সেটাই তাঁর শেষ সুযোগ।
আরও পড়ুন: Stadium Bulletin | কবে ভারতীয় দলে ফিরছেন বুমরা? Father’s Day-তে আবেগঘন পোস্ট শচীনের
এদিকে ১০ বছরের ট্রফি-খরা কাটল স্প্যানিশ আর্মাডার। যে দেশটা ২০০৮-এর ইউরো কাপ, ২০১০-এর বিশ্বকাপ এবং ২০১২-র ইউরো কাপ পরপর জিতেছিল, তারা এক দশক ধরে কোনও বড় টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। জাভি, ইনিয়েস্তা, পুয়োল, পিকে, রামোস, ফাব্রেগাস, বুসকেতস, দাভিদ ভিয়াদের সেই সোনালি প্রজন্ম আর নেই। পুরনো দিনের সদস্য বলতে টিঁকে আছেন অধিনায়ক তথা লেফট ব্যাক জর্ডি আলবা (Jordi Alba) এবং রাইট ব্যাক ড্যানি কার্ভাহাল (Dani Carvajal)। সঙ্গে অভিজ্ঞ বলতে মার্কো অ্যাসেনসিও।
খেলায় আক্রমণ বেশি ছিল স্পেনেরই। ক্রোয়েশিয়া কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের সুযোগ খুঁজছিল। ক্রোটরা গোলে ১২টা শট মেরেছে সেখানে স্পেন মেরেছে ২১টা। গোল করার সবথেকে কাছে চলে এসেছিলেন তরুণ স্ট্রাইকার গাভি। তাঁর শটে পরাস্ত হয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার, কিন্তু বল পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। খেলা টাইব্রেকারে গড়ানোর পর যে কেউ জিততে পারত। শেষ হাসি হাসল স্প্যানিশরাই। গোলকিপার সিমোন প্রথমে লোভ্রো মায়েরের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন। গোল করলেই জিতবেন এই পরিস্থিতিতে ক্রসবারে মারেন স্পেনের ডিফেন্ডার এইমেরিক লাপোর্তে। এরপর পেটকোভিচের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান সিমোন। পঞ্চম শট নিতে আসেন পোড়খাওয়া ফুটবলার কার্ভাহাল। তিনি কোনও ভুল করেননি। চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। জোড়া সেভ করে নায়ক স্প্যানিশ গোলকিপার বললেন, হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হল, আমরা জানতাম সহজে জিততে পারব না।