কলকাতা: সদ্য শেষ হয়েছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি (Border-Gavaskar Trophy)। আমেদাবাদে (Ahmedabad) সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ টেস্ট ড্র হওয়ায় ভারত (India) সিরিজ জিতেছে ২-১ ফলে। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও (WTC Final) উঠেছে ভারত। ৭ জুন ইংল্যান্ডের ওভালে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলবেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। জোড়া সাফল্যের মধ্যেই খচখচ করছে একটা প্রশ্ন। তা হল— ফাইনালের জন্য ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) ফেরানো হবে না কেন?
ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত। তাঁর ফিরতে এক বছর লাগতে পারে, দুই বছরও লাগতে পারে। টেস্ট ফর্ম্যাটে তাঁর জায়গায় খেলছেন কে এস ভরত (KS Bharat)। এই চারটি টেস্টে দেখা গেল, উইকেটকিপিংটাই পারেন না ভরত। প্রথম তিন টেস্টে না হয় বোঝা গেল, ঘূর্ণি উইকেট ছিল, পেরে ওঠেননি। কিন্তু আমেদাবাদের পাটা পিচে উমেশ যাদবের (Umesh Yadav) বলে যে ক্যাচ তিনি ফস্কেছেন তা ‘ললিপপ’ বললেও কম বলা হয়। অশ্বিন-জাদেজাদের বলে ক্যাচ তো ছেড়েছেনই। এছাড়াও তাঁর ভুলে বাই হয়েছে অনেক রান।
আরও পড়ুন: Talk on Facts | Biriyani | বিরিয়ানির হাঁড়িতে কেন লাল কাপড় জড়ানো থাকে?
এখন প্রশ্ন হল, ভারতীয় পরিবেশে যদি এমন অবস্থা হয়, ইংল্যান্ডের সুইঙ্গিং কন্ডিশনে কী করবেন। ওখানে তো রীতিমতো খাবি খেতে হবে। ভরত এমন কিছু ব্যাটিংও করেন না। তাহলে ঋদ্ধি নয় কেন? তাঁর বয়স নিয়ে যদি সমস্যা হয় তাহলে তো অশ্বিনকে নিয়েও সমস্যা। আর যোগ্যতার বিচারে ভরত ঋদ্ধির ধারেকাছেও আসতে পারেন না। তাহলে কেন জোর করে তাঁকে দলছাড়া করা হল।
ভরতের হতশ্রী কিপিং নিয়ে কলকাতা টিভির তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল ঋদ্ধিকে। তাতে কিছুটা অভিমানী শোনায় তাঁকে। তিনি বলেন, আমার কিছু না বলাই ভালো, ফিল্ডিং কোচ আছেন তো, তিনিই দেখে নেবেন। উমেশের বলে ললিপপ ক্যাচ ছাড়া নিয়ে বাংলার পাপালি বলেন, ও কীরকম মেন্টাল কন্ডিশনে ছিল সেটা ফ্যাক্টর। তবে আমরা আইপিএলে একই টিমের হয়ে খেলি, কথা বলব।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঋদ্ধি জানান, তাঁকে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) জানিয়ে দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে তাঁকে আর বিবেচনায় রাখছে না টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকরা। বয়স না পারফর্ম্যান্সের জন্য নয়, বিসিসিআই তরুণ প্রতিভার খোঁজে রয়েছে বলেই ঋদ্ধিকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই পন্থের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে ভরতকে দলে নেওয়া হয়। এতদিন পন্থ ছিলেন বলে বোঝা যায়নি, ভরত কী প্রকৃতির ‘প্রতিভা’ তা এখন টের পাওয়া যাচ্ছে।