চুক্তি নিয়ে বিতর্কের মাঝে, ঘরের ছোলে সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা| ঠিক ভুলের বিচার করতে|
লাল-হলুদের ঐতিহ্য যখন সঙ্কটে, তখন ক্লাব কর্তাদের ডাকে সারা দিয়ে মাঠে আসেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়| এসে টার্মশিট, চুক্তিপত্র দুটোই দেখেন এবং দেখে তাঁর নিজের মতামত এক চিঠিতে প্রকাশ করেন|
সেখানে ক্লাবের চুক্তিতে সই না করার সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করেছেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়| চিঠিতেই তার কারণও দর্শিয়েছেন তিনি|
তাঁর মতে চুক্তিপত্রের বিচ্ছেদে দুই পক্ষেরই সহমত থাকা উচিত্| কিন্তু সেটা চুক্তপত্রে উল্লেখ নেই| শুধু তাই নয় প্রাচীনতম ময়দানটাকেও চিরতরে কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে সেখানে|
চুক্তিপত্র দেখার পর যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়| একইসঙ্গে তিনি এটাও লিখেছেন যে, স্পোর্টিং রইটস লগ্নিকারী সংস্থার কাছে থাকার ফলে, প্রথম দুবছরের চুক্তি অনুযায়ী এবছরও খেলতে বা খেলার জন্য দল নামাতে কোনও সমস্যা নেই|
এছাড়া সমর্থকদের ক্লাবে ঢোকার অধিকার খর্ব করা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি| যত শীঘ্র সম্ভব ইস্টবেঙ্গলকে মাঠে ফেরানোর দাবি করেছেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়|
সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে জানানোর পাশাপাশি অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্ম সমিতির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুকুমার সমাজপতিও|
চুক্তিপত্র দেখে তাদেরও একই মত| ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সই না দেওয়ার পক্ষেই সমর্থম জানিয়েছেন তারা| তাদের মতেও টার্মশিট এবং চুক্তিপত্রের মধ্য নাকি বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে অসঙ্গতি|
এই চুক্তিকে সই হলে ক্লাব নাকি চিরতরে লগ্নিকারি সংস্থার হাতেই চলে যাবে| মনে করছেন এই দুই প্রাক্তন তারকাও|
আগামী ২৬ জুলাই ক্লাব প্রাঙ্গনে সমস্ত প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে বৈঠক হবে এই বিষয়ে| তারপরই নাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে|