সিএবি-র মিডিয়া সেল অন্যান্য দিনের মতো বাংলা-বরোদা ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে হেড কোচ অরুনলালের বক্তব্য পাঠায়। বাংলার লালজী বলেছেন, ‘এই ম্যাচে বাকি সময় ভালো ব্যাটিং করতেই হবে।’ ঠিকই বলেছেন। ম্যাচ বাঁচাতে তাই করতে হবে। কিন্তু এটা বলাটা দেরী হয়ে গেলো যে!
প্রথমদিন বিপক্ষকে ১৮১ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর , পরেরদিন অরুনের ছেলেরা ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যাবে!! কাদের কাছে? বরোদার কাছে। যাদের নাকি এই মরশুমে সাদা বলের টুর্নামেন্টে দুবারই হারিয়ে মানসিক ভাবে এগিয়ে ছিল ম্যাচের আগে। আর এই ম্যাচে বলের রং বদল হতেই , ভেল্কি শেষ!
স্কোর কার্ড দেখলে বোঝা গেছে, ৫ ব্যাটারদের দলে দম কতটা। ৩৪.৩ ওভারে দলের ব্যাটিং শেষ। লাঞ্চের আগেই শেষ।
হতেই পারে, দুটো মরশুমে লাল বলে ম্যাচ খেলাই হয়নি। সে তো কোনোও দলই খেলেনি। তবুও ওরা পারে, আমরা নই? বরোদা দলটা ভুবনেশ্বর পৌঁছে লাল বলে ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নিয়েছে। অর্থাৎ ম্যাচ ফিটনেস বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল। ওই দলের কোচের নাম, ডেভ হোয়াটমোর। একসময় সফল শ্রীলঙ্কার কোচ , আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোচ। তিনি জানেন কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলার? যিনি এখন দায়িত্বে, তাঁর ইমেজ সেই অতীতের পাতায় চলে গেছে। তিনি ব্যাটারদের রান করতে বলছেন ঠিকই, কিভাবে তার প্রস্তুতি নিলে কাজে সেটা কোথায়? দলে কোন প্লেয়ার আজ খেলার সুযোগ পেলে ২-৩ বছর পর দলের অ্যাসেট হবে – এটা তো তিনিই দেখবেন। অন্যরা দেখছেন। তাই এগুচ্ছে।
যাক সেসব। এখন বাঁচার রাস্তা কি? বরোদার দ্বিতীয় ইনিংস সাবধানে এগুচ্ছে। ৫ উইকেট হাতে, তারা এগিয়ে ২৩৭ রানে। উইকেট আরও সহজ হচ্ছে। রান আছে, বাইশ গজে। কিন্তু তারজন্য নিজেদের প্রয়োগ করতে হবে। এখন তো , বাংলার প্রথম ইনিংসে সফল বোলাররা বুঝতে পারছে – বিপক্ষ ব্যাটাররা সহজে জমি ছাড়ছে না।
হাতে দুটো দিন। বাকি ৫ উইকেটে যত দূর চলে যাওয়া যায় – তাই চেষ্টা চালাবে বরোদা। তারপর আবার একবার চেষ্টা চালাবে বাংলাকে ৫০ ওভারের মধ্যে গুটিয়ে দিতে। এবারই বাংলার ক্রিকেটারদের প্রমাণ করার পালা – তারা কোথাও কম যান না।
এই ম্যাচই বাংলার গোটা মরশুমের জিয়ন – মরণ কাঠি হয়ে উঠেছে। মাঠের বাইরের ‘স্যার’ -‘দাদা’রা তো সাপোর্ট স্টাফ। টাফ সাপোর্ট ঈশ্বরণদের চাই।
বিশ্ব রেকর্ড রনজি অভিষেকে:
বিহার – মিজোরাম ম্যাচ। কলকাতায় হচ্ছে। সেই ম্যাচে বিশ্ব রেকর্ড! প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই ট্রিপল সেঞ্চুরি বিশ্বে কারোর নেই। বিহারের সাকিবুল গনি তাই করে ফেলেছেন। প্রতিপক্ষ বোলারদের নাস্তানাবুদ করে দিয়ে গনি ৪০৫ বলে করেছেন ৩৪১ রান।
#Bihar's #Ranji player #SakibulGani is the 1st cricketer, who scored a triple century (341) in the first class debut match. BiharXMizoram #RanjiTrophy2022 match is being played in #Kolkata . Congratulations 🙏🌹🙏 pic.twitter.com/igvrIu3D3s
— GHUFRAN ALAM Fauji (@gufranFauji) February 18, 2022
কলকাতা সল্ট লেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাঠ যথেষ্ট বড়। সেই মাঠে ৫৬ টি চার আর ২টি ছক্কা – সহজ ব্যাপার নয়।
ছবি : সৌ টুইটার।