ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে শ্রী সিমেন্টের চুক্তি জট শুক্রবারও কাটল না।
বৃহস্পরিবার শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের চুক্তি জট নিয়ে লাল হলুদের জরুরী সভা মাঝ পথে মুলতবী হয়ে যায় মধ্যস্থতাকারীদের ফোনে। তখন ঠিক হয়েছিল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় আবার মুলতবী হয়ে যাওয়া সভাটি হবে। কিন্তু শনিবার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি প্রেস নোটে জানানো হয়, “মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ চার ঘন্টা সভা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। ওরা বলেছেন যথাযথ জায়গায় আলোচনা করে আমাদের জানাবেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা আজকের সভা স্থগিত রাখছি।”
মধ্যস্থতাকারী ছিল ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির এই কোম্পানিই চালায় আই এস এল। শুক্রবার তাদের পক্ষ থেকে ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে সভায় ছিলেন তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা এবং বিশ্ব মজুমদার। আর ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে ছিলেন দেবব্রত সরকার, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা), ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং হিসাব রক্ষক সদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকটি হয় মধ্য কলকাতায় রিলায়েন্সের অফিসে। সভায় ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, কেন তাদের পক্ষে শ্রী সিমেন্টের শর্তগুলি মানা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে শ্রী সিমেন্ট যে তাঁবুর মালিকানা সত্ত্ব নিতে চায় সেটা যে দেওয়া সম্ভব নয় তাও বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। রিলায়েন্সের লোকেদের পক্ষে ইস্ট বেঙ্গলের যুক্তি মানা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
রিলায়েন্স একান্তভাবেই চাইছে ইস্ট বেঙ্গল খেলুক আই এস এল-এ। তাদের উপর এ ব্যাপারে চাপ আছে স্টার স্পোর্টসের যারা আই এস এল-এর সম্প্রচারকারী। যা অবস্থা, শ্রী সিমেন্ট যদি তাদের দাবি থেকে না সরে তাহলে এবার ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষে আই এস এল খেলা খুব মুশকিল। ৩১ আগস্ট আন্তর্জাতিক দলবদলের শেষ দিন। তাই দল গঠনের সময়ও বেশি নেই। আবার শ্রী সিমেন্টের হাতেই আছে স্পোর্টিং রাইটস। তারা সেটা ফেরত না দিলে রিলায়েন্স কিংবা ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষে টিম গড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে এমন একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে সমস্যা মেটার তো লক্ষণই নেই, বরং দিন দিন তা বাড়ছে। এই অন্ধকার যে কবে কাটে তাই এখন দেখার।