ইয়র্কশায়ার: ইয়র্কশায়ার (Yorkshire) এলাকায় তাপমাত্রা এখন ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাৎ বেশ ঠান্ডা। হেডিংলির (Headingly) মাঠ কিন্তু টগবগ করে ফুটবে আগামী পাঁচদিন। ১৯৩২-৩৩ সালে স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের (Sir Don Bradman) আমলে শেষবার অ্যাশেজ সিরিজ (Ashes Series) নিয়ে এই পরিমাণ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে চিঠি চালাচালি পর্যন্ত হয়েছিল। এবার চিঠি পর্যন্ত না গেলেও বেয়ারস্টো বিতর্কে মুখ খুলেছেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak) এবং অ্যান্থনি আলব্যানিজ (Anthony Albanese)। এই উত্তপ্ত আবহেই বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে তৃতীয় টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া ২-০ এগিয়ে কাজেই হেডিংলিতে মরণবাঁচন ম্যাচ বেন স্টোকসদের (Ben Stokes)।
ভারতীয় ক্রিকেটে যেমন মুম্বইয়ের চিরকালীন আধিপত্য, গরিমা রয়েছে, ইংল্যান্ডে ঠিক সেই জায়গা পায় ইয়র্কশায়ার কাউন্টি। এখান থেকেই বেশিরভাগ দেশের সেরা ক্রিকেটাররা বেরোন। ইংলিশ ক্রিকেটের সম্মান পুনরুদ্ধারের লড়াই আজ থেকে পাঁচদিন সেই ইয়র্কশায়ারের মাঠেই।
অস্ট্রেলিয়া (Australia) নিঃসন্দেহে ফুরফুরে মেজাজে খেলতে নামবে। তবে ফুরফুরে মানে গা-ছাড়া নয়। প্যাট কামিন্সদের লক্ষ্য অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সিরিজ পকেটে পুরে ফেলা। অভিজ্ঞ অফস্পিনার নাথান লায়নের (Nathan Lyon) না থাকা অবশ্যই বড় ধাক্কা, হেডিংলিতে তাঁর জায়গায় খেলবেন সম্ভবত টড মারফি। বাকি দল অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন: India T20 Squad | হার্দিক অধিনায়ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ঠাঁই হল না রিঙ্কু সিংয়ের
বুধবারই প্রথমে একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। বেশ কিছু বদল হয়েছে দলে। চোট পাওয়া অলি পোপের (Olie Pope) জায়গায় দলে ঢুকেছেন মইন আলি (Moeen Ali)। পোপের জায়গায় তিন নম্বরে ব্যাট করবেন হ্যারি ব্রুক। চারে জো রুট (Joe Root), পাঁচে জনি বেয়ারস্টো (Jonny Bairstow) এবং ছয়ে স্টোকস সাত এবং আটে যথাক্রমে মইন এবং ক্রিস ওকস (Chris Wokes)। এরপর পরপর মার্ক উড (Mark Wood), অলি রবিনসন (Olie Robinson) এবং স্টুয়ার্ট ব্রড (Stuart Broad)।
একথা স্বীকার করতেই হবে, আগের দুই টেস্টের থেকে অনেক বেশি ভারসাম্য রয়েছে এই একাদশে। প্রথমত, অস্ট্রেলিয়ার যেমন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) এবং মিচেল স্টার্ক (Mitchell Stark) ব্যাট হাতে অনেকটা ভরসা দেন ইংল্যান্ডের তেমন কেউ ছিল না। বেয়ারস্টো আউট হওয়া মানেই খেল খতম। এবার মইন আলি তো আছেনই, আনা হয়েছে ক্রিস ওকসকেও। ওকস কিন্তু এ ম্যাচে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন।
আর একটা ভালো দিক হল, ইংল্যান্ডের এই একাদশে পেস বোলারদের গতি বাড়বে। মার্ক উড এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে দ্রুতগতির বোলারদের মধ্যে একজন। ওকসের গতিও ব্রড-অ্যান্ডারসনের থেকে বেশি। লর্ডসে তাঁদের সুইং বোলিং গতির অভাবে খেলে দিচ্ছিলেন স্টিভ স্মিথরা। মইন আলির স্পিনও কাজে আসবে।