কলকাতা: মাঠে বসে ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC) আর মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) ম্যাচ দেখতে গিয়ে দৃষ্টিবিভ্রম হচ্ছিল মাঝেমধ্যেই। মহামেডান যে জার্সি পরে খেলছিল দেখে মনে হতেই পারে এ তো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (EPL) নিউকাসল। আবার মুম্বইয়ের জার্সির রং যেন ম্যান সিটি (Man City)। ইপিএল আর ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের মানে যে পরিমাণ ফারাক তাতে এই দৃষ্টিবিভ্রম মানসিক বিকার বলে মনে হতেই পারে। যাক গে সেকথা।
ম্যান সিটি আর নিউকাসলের মানে যে তফাত, মুম্বই আর মহামেডানেরও তাই। মুম্বই ৩-১ জিতেছে, কিন্তু ফলাফল হওয়া উচিত ছিল ৬-২। বিপিং সিং (Bipin Singh) একাই তিন তিনটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। সহজ মানে একেবারে সিটার যাকে বলে। তবে বিপিন খেলেছেন দারুণ। তাঁর বাড়ানো বলেই গোল করেন লাল্লিয়ানজুয়ালা ছাংতে (Lallianzuala Changte)। ছাংতে রাইট উইং এবং বিপিন লেফট উইংয়ে খেলছিলেন। একের পর এক ইন বিহাইন্ড রান নিয়ে সাদা-কালো ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেন। এদিকে স্ট্রাইকার জেমস স্টুয়ার্ট (James Stewart) অপারেট করছিলেন ডাউন দ্য মিডল। ১০ নম্বর জার্সিধারী অ্যাটাকিং মিডিও আলবার্তো নোগেরা (Alberto Noguera) পিছন থেকে খেলা নিয়ন্ত্রণ করলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে ভারত, দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠবেন কি হার্দিকরা?
ধারে ভারে এই মুম্বই সিটির থেকে অনেক পিছিয়ে মহামেডান। তাদের ১০ নম্বর জার্সিধারী একজন আর্জেন্টাইন, নাম আলেক্সিস গোমেজ (Alexis Gomez)। এক তো তিনি বিস্ময়কর কোনও প্রতিভা নন, তার উপর তাঁকে খেলানো হল স্ট্রাইকারে যা তিনি নন। গোল করার চেয়ে করানোতেই বেশি দক্ষ। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন আলেক্সিস। গড়ানো ক্রসে ঠিকমতো পা লাগালেই গোল। কিন্তু পায়ে-বলে ঠিকঠাক সংযোগই হল না। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের মহামেডান সমর্থকরা হা-হুতাশ করলেন। ওই সময় গোলটা হলে কিন্তু ম্যাচ জমে যেত।
খেলার চারটে গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। মুম্বইয়ের হয়ে ১৩, ২৪ এবং ৩৬ মিনিটে গোল করেন যথাক্রমে স্টুয়ার্ট, পেরেইরা দিয়াজ এবং ছাংতে। মহামেডানের হয়ে একমাত্র গোল ডেভিডের, ম্যাচের তখন ৪২ মিনিট। সত্যি বলতে এই হারে সাদা-কালো বাহিনীর খুব একটা বিমর্ষ হওয়ার কিছু নেই। বরং আধডজন গোল খেতে হয়নি এটাই সৌভাগ্য। একটা দল আইএসএলের অন্যতম সেরা, আর একটা খেলে আই লিগে। তফাত তো থাকবেই।