ওয়েব ডেস্ক: বড়দিনে স্বপ্ন পূরণ। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি (Syed Mushtaq Ali Trophy) হাতে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। গ্যালারিতে উল্লাস, ড্রেসিংরুমে হুল্লোড়। ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) ক্রিকেটের এই সাফল্য নিঃসন্দেহে নতুন ইতিহাস। তবে এই জয়ের গল্পটা শুধু মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা ১১ জন ক্রিকেটারের নয়, এর নেপথ্যে আছেন এমন এক মানুষ, যিনি দেশকে এনে দিয়েছেন একের পর এক বিশ্বকাপ। আর এবার মাঠে না নেমেই জন্মভূমিকে বড় সম্মান এনে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। কিন্তু কীভাবে? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
২০২৪ সালে বড়সড় রদবদলের পথে হাঁটে ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। প্রশাসনিক কাঠামোয় পরিবর্তন এনে নতুন দিশা খোঁজা শুরু হয়। প্রাক্তন স্পিনার শাহবাজ নাদিমকে যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন রতন কুমার। তবে সবকিছুর অন্দরে নিয়মিত পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা কৌশলী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এ কতগুলি বিশ্বকাপ? একনজরে দেখে নিন ক্রীড়া সূচি
ধোনি মাঠে না থাকলেও তাঁর নজর ছিল সবদিকে। পুরো টুর্নামেন্টে ঝাড়খণ্ড দলের পারফরম্যান্স তিনি নিয়মিত বিশ্লেষণ করেছেন। কোন ব্যাটার কোন পরিস্থিতিতে কার্যকরী হবেন, কোন ওভারে কোন বোলারকে দিয়ে বোলিং করানো ঠিক হবে, প্রতিপক্ষের কোন দুর্বলতাকে কাজে লাগানো যাবে — সবই ধোনির নোটবুকে লিপিবদ্ধ ছিল। আর এভাবেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জয়ের ব্লুপ্রিন্ট এঁকেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ধোনি। কিন্তু ক্রিকেট তাঁকে একদিনের জন্যও ছাড়েনি। খেলেছেন আইপিএল। এর বাইরেও ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটকে পথ দেখিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, নেতৃত্ব শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরে থেকেও দেওয়া যায়। কারণ ঝাড়খণ্ডের এই সাফল্যের পিছনে অনেক পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও বিশ্বাসের গল্প থাকলেও সবচেয়ে বড় ছায়া-নায়ক হিসেবে লেখা রয়েছে রাঁচির সেই শান্ত মাথার মানুষটির নাম, যাঁকে আমরা ‘মাহি’ বলে চিনি।
দেখুন আরও খবর: