মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল শ্রী লঙ্কার ব্লু স্টারকে হারাবার পর থেকেই। আর শুক্রবার পয়লা বৈশাখের বারপুজোতে এসে সেই প্রস্তুতি হয়ে দাঁড়াল শপথে। এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো কিংবা অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলে গেলেন এবার বাংলাদেশের আবাহনীকে হারিয়ে এ এফ সি কাপের মূল পর্বে ওঠাই এখন একমাত্র লক্ষ্য। আগামী মঙ্গলবার সল্ট লেক স্টেডিয়ামেই সেই ম্যাচ। এটিকে মোহনবাগান বনাম আবাহনী লিমিটেড। এক সময় আবাহনী ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে কলকাতার তিন প্রধানের টক্কর ছিল দুই বাংলার ফুটবলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেই আবাহনীই এখন আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের খেলা ছিল মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়া ক্লাবের সঙ্গে। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়া ওয়াক ওভার দেওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের সামনে এখন আবাহনী।
এই ম্যাচে মোহনবাগান পাবে না তাদের এক নম্বর স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণকে। শাশুড়ি প্রয়াত হওয়ায় কৃষ্ণ সপরিবারে ফিরে গেছেন তাঁর দেশে। তবে টিমের ষষ্ঠ ফুটবলার কার্ল ম্যাকহিউ যোগ দিয়েছেন প্র্যাক্টিসে। তবে আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাকহিউর টিমে থাকা মুশকিল। শ্রী লঙ্কার বিরুদ্ধে যে চার বিদেশি খেলেছিলেন তারাই কেলবেন আবাহনীর বিরুদ্ধে। জুয়ান এদিন মোহনবাগান তাঁবুতে বলেন, ” রয় কৃষ্ণর বিকল্প পাওয়া মুশকিল। তবে যারা আছে তাদের দিয়েই আবাহনীর বিরুদ্ধে নামতে হবে। আমরা এ এফ সি কাপের মূল পর্বে খেলতে চাই।” মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটালের গলাতেও এক সুর। বলছিলেন, “আমরা এবার আই এস এল-এ চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এ এফ সি কাপে ভাল ফল করে সেই যন্ত্রণা ভুলতে চাই।”
শ্রী লঙ্কার ব্লু স্টারের চেয়ে আবাহনী অনেক শক্তিশালী। দলে আছেন রাশিয়া বিশ্ব কাপে কোস্তা রিকার হয়ে খেলা ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। কোস্তা রিকার এই স্ট্রাইকার রাশিয়া বিশ্ব কাপে দেশের হয়ে একটি ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেন। আরেকটি ম্যাচে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন। কোস্তা রিকার এই টিমেই খেলেছিলেন ইস্ট বেঙ্গলে খেলে যাওয়া ডিফেন্ডার জনি অ্যাকোস্তা। তবে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ডোরি এখন চোটের আওতায়। দলের পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস অবশ্য আশাবাদী ডোরিকে মাঠে নামাতে পারবেন। লেমস বলেছেন, ” ডোরি ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে। ওকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করি ও খেলতে পারবে।” মোহনবাগান যেমন আবাহনীকে গুরুত্ব দিচ্ছে, আবাহনী কোচও তেমনই গুরুত্ব দিচ্ছেন মোহনবাগানকে। লেমস বলেছেন, “মোহনবাগান দারুণ দল। আমাদের লড়াই সেরা দলের বিরুদ্ধে।”