ওয়েব ডেস্ক: কেরালা ব্লাস্টার্স কোচ দাভিদ কাতালা সম্ভবত এখনও হিসেব মেলাতে পারছেন না। যে দলটা পূর্ণশক্তির ৩০ শতাংশ নিয়ে মাঠে নামল তারা কী করে হারিয়ে দিল তাঁর কেরালা ব্লাস্টার্সকে। অথচ আগের ম্যাচে পূর্ণশক্তির ইস্টবেঙ্গলকে ধরাশায়ী করেছিল তারা। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের।
হতে পারে আইএসএল খেলা দলটার চার-পাঁচজন সুপার কাপ খেলছে, হতে পারে সেরা তারকারা ছুটি কাটাচ্ছেন, হতে পারে দলে বিদেশি মাত্র একজন, তবু দলটার নাম মোহনবাগান। হেড কোচ হোসে মোলিনা নেই, দলের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিচ্ছেন সহকারী বাস্তব রায়। তা সত্ত্বেও পূর্ণশক্তির কেরালাকে ২-১ হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠল সবুজ-মেরুন।
আরও পড়ুন: হারা যাবে না, আজ থেকে নাইটদের সব ম্যাচই ‘ডু অর ডাই’
আইএসএল খেলা প্লেয়ার বলতে এদিন ছিলেন সাহাল আবদুল সামাদ, আশিক কুরুনিয়ান, দীপক টাংরি এবং দীপ্পেন্দু বিশ্বাস। আর বিদেশি বলতে একা নুনো রেইস। তাঁদের সঙ্গে তরুণ প্রতিভাদের নামান বাস্তব রায়। রাইট উইংয়ে খেলা সালাউদ্দিন নজর কাড়লেন। জার্সিতে তাঁর নাম লেখা সালাহ। প্রথম গোলে যেভাবে অবদান রাখলেন তাতে লিভারপুলের মহম্মদ সালাহর কথা মনে পড়তে বাধ্য।
সালাহর পাস থেকে ২৭ মিনিটে ১-০ করেন সাহাল। দ্বিতীয়ার্ধে আশিকের পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান তরুণ স্ট্রাইকার সুহেল ভাট। নজর কাড়লেন গোলকিপার ধীরাজ সিংও। বেশ কয়েকবার নিশ্চিত গোল বাঁচালেন। তাঁর দুর্ভাগ্য যে ক্লিন শিট পেলেন না, শেষ মুহূর্তে একটা গোল করে ফেলল কেরালা।
আশিক এবং সাহালকে দেখে মনে হচ্ছিল প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এসেছেন। কেরালার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন তাঁরা। যতবার এই দুজন বল পায়ে নিয়েছেন, ততবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আইএসএল লিগ-শিল্ড এবং কাপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তাঁরা। মেরিনাররা এই টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হবে কি না তা সময় বলবে, তবে প্রায় আনকোরা দলের খেলা দেখে সমর্থকরা আশাবাদী হতেই পারেন।
দেখুন অন্য খবর: