লিপজিগ: ইংল্যান্ডের (England) সম্মান এখন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির (Man City) হাতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় উঠেছিল ইংল্যান্ডের চারটি ক্লাব, টটেনহ্যাম (Tottenham), চেলসি (Chelsea), লিভারপুল (Liverpool) এবং ম্যান সিটি। শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে টটেনহ্যাম এবং চেলসি হেরেছে ১ গোলে। ২-৫ গোলে রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) কাছে উড়ে গিয়েছে লিভারপুল। টটেনহ্যাম এবং চেলসির উপর তবু আশা আছে, কিন্তু লিভারপুল বিদায় নেবে প্রায় নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে জার্মানির ক্লাব আরবি লিপজিগের (RB Leipzig) বিরুদ্ধে আজ রাতে মাঠে নামছে পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) সিটি।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সবথেকে বড় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল চেলসি কিংবা টটেনহ্যাম নয়। তারা আদৌ শেষ ষোলোর বাধা পেরবে কি না সন্দেহ। সুতরাং ইংল্যান্ডের শিবরাত্রির সলতে একমাত্র সিটিই। খাতায় কলমে লিপজিগের থেকে অনেক শক্তিশালী দল তারা। তবে খেলা তো মাঠে হয়। তবু আশা করা যায় এই রাউন্ডের বাধা পেরবেন এর্লিং হালান্ড (Erling Haaland), কেভিন ডি ব্রুইনারা (Kevin De Bruyne)।
আরও পড়ুন: #WT20WC: বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া ভারত
একাধিকবার প্রিমিয়ার লিগ (EPL) জিতেছে ম্যান সিটি। জিতেছে এফএ কাপও (FA Cup)। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সৌভাগ্য হয়নি তাদের। বছর দুই আগে ফাইনালে উঠে চেলসির কাছে ১-০ হেরে গিয়েছিল তারা। গতবার সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারতে হয়। এছাড়াও কয়েকবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ম্যাঞ্চেস্টারের ক্লাব। কিন্তু অধরা মাধুরী স্পর্শ করা হয়নি গুয়ার্দিওলার দলের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ম্যান সিটিতে বৃত্ত সম্পূর্ণ করবেন পেপ গুয়ার্দিওলা। তবে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে আক্ষেপ করতে শোনা গেল তাঁকে। তিনি বলছেন, তিনিই যতই জিতুন না কেন, এক শ্রেণির মিডিয়া এবং লোকজন তাঁকে ব্যর্থ হিসেবেই দেখবে। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও। কোনও সন্দেহ নেই, গুয়ার্দিওলার হাতে পড়েই ইউরোপের অন্যতম সেরা দল হয়ে উঠেছে সিটি। শুধু লিগ জেতাই নয়, যে ব্র্যান্ডের ফুটবল তারা খেলে তাকে সমীহ করে গোটা ইউরোপ। আজ সেই ব্র্যান্ড দিয়ে লিপজিগ বাধা টপকানোই লক্ষ্য।