কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: ২৫ নভেম্বর কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নেমেছে ভারত| টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ| কিন্তু সেই ম্যাচে নামার আগেই সোশ্যাল সাইট জুড়ে দেখা গিয়েছিল বিতর্কের| যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের নতুন খাওয়ারের সূচি|
শোনা যায় বোর্ড থেকে নাকি ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য নতুন খাওয়ারের সূচি পাঠানো হয়েছে| যেখানে বলা হয়েছ কোনওরকম বিফ বা পর্ক খেতে পারবেন না ক্রিকেটাররা| শুধুমাত্র হালাল মাংস খেতে পারবেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা| আর এরপর থেকেই সোশ্যাল সাইটে বিতর্ক তুঙ্গে| রীতিমত বিসিসিআই প্রোমোটস হালাল, এটা ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে|
এই মেনু বদলের দাবীতে সোচ্চ্বার হন নেটিজেনরা| ভারতীয় ক্রিকেটাররা কেন এই হালাল মাংস খাবেন সেটাই মেনে নিতে পারছেন না| যদিও ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই রটনাকে নস্যাত করেছেন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল|
সংবাদ সংস্থা আইএনএসকে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ধরণের কোনওরকম মেনুর নির্দেশিকা বোর্ডের তরফে ক্রিকেটারদের জন্য পাঠানো হয়নি| এগুলো অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়|এই ধরণের কোনও ডায়েটপ্ল্যান আলোচনাই করা হয়নি| ক্রিকেটাররা কী খাবেন বা না খাবেন, সে ব্যপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে’|
ঠিক তেমনই সোশ্যাল সাইটে চূড়ান্ত বিতর্ক চললেও, এর থেকে নিজেদের দূরেই সরিয়ে রাখতে চান কলকাতার ক্রিকেট মহলও| কলকাতার প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান যে এমন জিনিস নিয়ে এখনই মন্তব্য করার মতো জায়গায় তারা নেই|
বিশেষত যাদের খাওয়ারের মেনু নিয়ে এত বিতর্ক, সেখান থেকেই কিছু জানানো হয়নি| আর যদিওবা এমনটা হয়, সেটা ডায়েটিশিয়ান, চিকিত্সকরা আলোচনা করেই করেন| তবে এই ব্যপারে এখনও পর্যন্ত তারা অবগত নন| তাই কোনোরকম মন্তব্য করতে চাননি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, সৌরাশিস লাহিড়ীরা|
সোশ্যাল সাইট জুড়ে অবশ্য বিতর্ক থামছে না| যদিও বোর্ডের তরফ থেকে এ ব্যপারে স্পষ্টই সমস্তকিছু জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ| বিতর্ক কত তাড়াতাড়ি থামে সেটাই দেখার|