রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর থেকেই শুরু হয়েছিল উল্লাসটা| হ্যারি কেন-রা সাজঘর হলে হোটেলে পৌঁছনোর পরও সেই উত্্সবে এতটুকুও ভাটা পড়ে| পড়বেই বা কেন ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে যোগ্যতা নির্নয় করতে না পারার জন্য অনেক যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়েছিল কোচ সহ গোটা দলকে| মানচিনির সেই আফসোস মিটল কোপা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর| বুক ভরা স্বস্তি|
অনেক বাধা পেরিয়ে এই মুহূর্তটায় পৌঁছতে পেরেছে আজুরিরা| ইতালির জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েম্বলির গ্যালারী থেকে ভেসে এসেছে নানা কটূক্তি| ম্যাচ শেষে যার জবাব মিলেছে ইংল্যান্ড সমর্থকদের| ব্রিটিশদের জাত্যাভিমান ধুলোয় মিশিয়ে ওয়েম্বলির সবুজ ঘাস থেকেই ইতালি শিবিরের উত্্সবের শুরু|যা অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে দেখতে হয়েছে ইংল্যান্ড কোচ, ফুটবলার, সমর্থক এমনকি গ্যালারীতে হাজির ব্রিটিশ যুবরাজ, ডেভিড বেকহ্যামদেরও|
আজুরিদের সাজঘর ভেসে গেছে শ্যাম্পেনে| ৫৩ বছরের খরা কাটিয়ে মরুভূমিতে ফুল ফুটিয়েছেন মানচিনি| গ্যালারীর দিকে বনুচ্চিদের মানব ঢেউয়ে উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়েছেন সমর্থকরাও| অতিমারির বিধি নিষেধে যাঁরা ইংল্যান্ড যেতে পারেননি, তাঁরা ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন|
সোমবার সকালেই দেশে ফেরেন কিয়েলিনি, মানচিনি, বোনুচ্চিরা| বীরদের স্বাগত জানাতে রাস্তায় জনজোয়ার|করোনার কড়াকড়িতে টিম হোটেলে প্রবেশের অনুমতি না মিললেও উত্্সবে এতটুকু ভাটা পড়েনি| হোটেলের ভিতরেই, চলতে থাকে সেলফি, গ্রুফি তোলার আবদার| না, এদিন আর না বলে কাউকে ফিরিয়ে দেননি কোচ, ফুটবলার কেউই| ম্যাচের পর সারারাত ট্রফিটা জড়িয়েই ঘুমিয়েছিলেন কিয়েলিনি| বিধি নিষেধের মাঝেই রোমের রাস্তায় এই ছবি| করোনা না থাকলে, ইতালির রাজধানীর চেহেরাটা যে অন্যরকম হত বলাই বাহুল্য|