মানচিনির হাত ধরে মধুর প্রতিশোধ| ২০১২ সালে এই স্পেনের কাছেই ফাইনালে হারতে হয়েছিল ইতালিকে| মাঝে কেটে গিয়েছে ৯ বছর| স্পেনকে হারিয়েই ইউরো কাপের ফাইনালে ইতালি| টাই ব্রেকারে ৪-২ গোলে স্প্যানিশ ব্রিগেডকে হারাল আজ্জুরিরা|
ওয়েম্বলিতে ইতালি বনাম স্পেন ম্যাচের উত্তাপ ছিল চরমে| লড়াইটাও হল সমানে সমানে| কিন্তু শেষপর্যন্ত মানচিনির নতুন ইতালির কাছে হার মানতেই হল লুই এনরিকের দলকে|
ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই খেলায় ছিল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ| একের পর এক সুযোগ পেয়েছে দুই দল| কিন্তু একটাও কাজে লাগাতে পারেনি| কখনও বারেল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে তো কখনও অলমো, অ্যাজপিলিসুয়েতারা ব্যর্থ হয়েছেন| প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থাতেই|
বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া ছিল স্পেন| বারেবারেই ইতালির রক্ষণে হানা দেয় তারা| সুযোগের অপেক্ষায় ছিল ইতালি| সেখান থেকেই ইতালির প্রথম কাউন্টার অ্যাটাক| তাতেই সাফল্য| ইমোবাইলের পাস থেকে দুরন্ত গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেন চিয়েসা|
যদিও সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি মানচিনির| আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ৬২ মিনিটেই মোরাতাকে মাঠে পাঠান এনরিকে| আরও চাপ বাড়াতে কিছুক্ষণের মদ্যেই মোরেনোকেও নামিয়ে দেন স্প্যানিশ কোচ|
ম্যাচ শেষের ঠিক ১০ মিনিট আগে আলভারো মোরাতার গোলেই ম্যাচে ফেরা| স্প্যানিশ শিবিরে স্বস্তি| অসংখ্য স্পেন সমর্থকদের চোখে মোরাতাই তখন ত্রাতা| নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল ১-১| খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে|
স্পেন গোল পেতে মরিয়া হলেও, ইতালি যেন তখন টাই ব্রেকারের লক্ষ্যে| অন্তত কিয়েলিনি, বোনুচ্চিদের হাবভাব দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছিল| হয়ত এটাই ছিল মানচিনির স্ট্র্যাটেজি|
অতিরিক্ত সময়েও গোল পেল না কেউই| ফাইনালের পথ নির্ধারিত হবে তখন টাই ব্রেকারে| আর সেখানেই স্পেনকে সমতায় ফেরানোর নায়ক মোরাতা খল নায়ক| তিনি গোল পেলে তখনও জেতার সম্ভাবনা থাকত স্পেনের| কিন্তু হল না| ইতালির গোলরক্ষকের হাতেই আটকে গেল মোরাতার শট|
শেষ শটে দুরন্ত গোল করে ইতালিকে ফাইনালে পৌঁছে দেন জর্গিনহো| পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলল আজ্জুরিরা|
২০১৮ সালে বিশ্বকাপে আসতে পারেনি তারা| এবার সেই ইতালিই ফাইনালে| ওয়েম্বলি থেকে রোমে ইউরো ট্রফিটা নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষাতেই মানচিনির দল|