জয়জ্যোতি ঘোষ : ওম শান্তি ওম সিনেমায় শাহরুখের ডায়লগের কথা মনে পড়ে? ‘’অগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো, তো পুরি কায়নাত উসে তুমসে মিলানে মে জুট জাতি হ্যায়…” রিল লাইফ সংলাপের বাস্তবায়ন এবার রিয়েল লাইফেও! কথা বলছি বিষ্ণুপুরের মানস চট্টোপাধ্যায়ের। অন্ধ সৌরভ ভক্ত। শর্তহীনভাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সবসময় চিয়ার করে যাওয়ার নামই মানস চট্টোপাধ্যায়।
বাঁকুড়া সফরে এসে কোনও এক ফ্যানের বাড়িতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সটান চলে যাবেন এটা ভাবা প্রায় দিবাস্বপ্ন! কিন্তু এমনটাই হয়েছে। ভক্ত যদি ভগবানকে প্রাণভরে ডাকেন, ভগবান নিশ্চয়ই সাড়া দেন। বিষ্ণুপুরের মানসের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। সাড়া দিয়েছেন তাঁর ভগবান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাঁকুড়া থেকে কলকাতা ফেরার পথে মানসের এক ডাকেতেই মানসের পাড়ায় চলে আসেন মহারাজ। শুধু আসলেনই না? পাড়ায় গিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন প্রায় ২০ মিনিট। নমস্কার জানিয়ে কথা বললেন তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। সৌরভকে দেখে মানুষের উন্মাদনা চরম সীমায় পৌঁছে যায়। মানসের ডাকে সৌরভের তাঁর পাড়ায় চলে যাওয়ার ঘটনা সত্যিই অভূতপূর্ব! পরের বার এলে আবার মানসের বাড়ি আসবেন কথা দিয়েছেন তিনি। সৌরভের এই ইঙ্গিত প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে বিভিন্ন মহলের।
আরও পড়ুন: বৈভবের জন্য ১০ লক্ষ টাকা! পুরস্কার ঘোষণা নীতীশ কুমারের
মহারাজের দরবারের নামে অতি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ ১০ বছর আগে শুরু করেছিলেন মানস চট্টোপাধ্যায়। এর আগে দশ বছর পূর্তিতে কেকও কাটেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়!
শচীন তেন্ডুলকর বলতেন, ‘স্বপ্ন দেখা থেকে কখনও সরে এসো না। তার পিছনে ছুটে বেরাও। স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই।’ মাস্টার-ব্লাস্টারের কথা কতটা সত্যি তা বিষ্ণুপুরের ৩১ বছরের মানসকে দেখলে বোঝা যায়। ভগবান-ভক্তের সম্পর্ক এমনই অটুট থাকুক আজীবন!
দেখুন আরও খবর: