এই মরসুমটা কি গ্যালারীতে বসেই কাটিয়ে দেব ইস্টবেঙ্গল| লাল-হলুদ কর্তাদের একগুয়েমিতে জল সেদিকেই গড়াতে শুরু করেছে| বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর ক্লাব কর্তাদের আচরণে বিতশ্রদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ|
চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে দড়ি টানাটানির মাঝে, মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যস্থতায় ক্লাব কর্তাদের অনক দাবীই মেনে নিয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থা| সাতটা ক্লজ ছাড়াও তাঁবুতে অফিস ঘর, প্রেসিডেন্ট, জিএসদের অফিস করার সিদ্ধান্তেও সিলমোহড় দিয়ে দেওয়া হয়ছিল তাদের তরফে|
কিন্তু বায়নাক্কার যেন থামছেই না ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের| একটা মেনে নিলে আবার নতুন বায়না শুরু হয়ে যাচ্ছে তাদের| এটাই বিরক্তি বাড়িয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধারের|
ফুটবলটাই তাদের মূল ব্যবসা নয়| প্রথমদিকে ক্ষুব্ধ হরিমোহন বাঙ্গুর বলেছিলেন বিনিয়োগ করা ৫০ কোটি টাকা ফেরত দিলে তারা যেকোনও মুহূরতে বেড়িয়ে যাবে| কিন্তু তিনি এখন এতটাই বিতশ্রদ্ধ ক্লাব কর্তাদের আচরণে যে টাকা ফেরতের জন্যও হয়ত আর অপেক্ষা করবেন না|
৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে খারাপ স্মৃতি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না| যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন ক্লাব কর্তাদের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে এক সপ্তাহের জন্য ধৈর্য ধরে থাকবেন|
কিন্তু প্রশ্ন তাঁর ধৈর্যটা কি এক সপ্তাহ দীর্ঘায়িত হবে| নাকি আগামী দু তিন দিনের মধ্যেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করে ফেলবেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধার| যদি সত্যিই তা হয়, তারপর কী করবেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা| উত্তরের অপেক্ষায় সকলে|
বরফ গলবে নাকি বরফ নতুন করে জমবে|