লন্ডন: তৃতীয় দিনের শুরু, শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ডের (England) দ্বিতীয় ইনিংস। একেবারে নতুন চকচকে ডিউক বল নিয়ে প্রথম ওভার করতে এলেন মিচেল স্টার্ক (Mitchell Stark)। প্রথম বলটা জাক ক্রলিকে (Zak Crawley) অফস্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরে হাফভলি দিলেন অজি পেসার। চিরাচরিত ধারণা বলে ব্যাটার ওই বল ছেড়ে দেবেন। ক্রলি সপাটে পাঞ্চ করলেন, হ্যাঁ, খাঁটি ড্রাইভ বলা যাবে না, ওটা পাঞ্চই। প্রথম ওভারে উঠল ১৩ রান, সৌজন্যে বেন ডাকেটের (Ben Duckett) আরও দুটো বাউন্ডারি।
ব্যাপারটা যেন একদিনের ক্রিকেটের মতো। প্রথম পাওয়ার প্লে চলছে, ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের যতটা সুবিধা নেওয়া যায় ব্যাটাররা তা-ই নিচ্ছেন। পোশাকটাই শুধু রঙিন নয়, সাদা। একে বিবর্তন বলাই যায়। শনিবার অর্থাৎ তৃতীয় দিনের লাঞ্চের সময় ২৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান ১৩০, ওভার পিছু রান রেট ৫.২০। এটা তো ওয়ান ডে ক্রিকেটেরই সামিল। ডাকেট ৫৫ বলে ৪২ করে আউট হয়েছেন কিন্তু ক্রলি ৭৩ বলে ৭১ করে অপরাজিত। আহত মইন আলির (Moeen Ali) জায়গায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে চলে এসেছেন স্বয়ং অধিনায়ক বেন স্টোকস (Ben Stokes)। ইংল্যান্ডের লিড এখন ১১৮। এভাবে চললে দ্বিতীয় সেশনের শেষ পর্যন্ত লিড ২০০-২৫০ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: WI vs IND | দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তেও কি ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট?
You can’t park there… ?
Zak Crawley starting our final innings of the series how he began the first, crashing it through the covers for four! ? #EnglandCricket | #Ashes pic.twitter.com/fqvJDY9w6F
— England Cricket (@englandcricket) July 29, 2023
২৮৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু প্রথাগত, রক্ষণশীল ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াই বা কী এমন তির মারল? ইংল্যান্ড ২৮৩ করেছিল ৫৪.৪ ওভারে। স্টিভ স্মিথরা (Steve Smith) ২৯৫ করতে নিলেন ১০৩.১ ওভার। প্রায় দ্বিগুণ! বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuschagne) ৮ রান করলেন ৮২ বলে। যে যুগে ক্রমশ টেস্ট ক্রিকেটের দর্শক কমছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই বিরক্তিকর ব্যাটিং কতটা যুক্তিযুক্ত? এটা তো সত্যি, টেস্ট ক্রিকেটের মন্থরতার কারণেই ৫০ ওভার ফর্ম্যাটের জন্ম এবং তাকে আরও উত্তেজক করতেই টি২০-র আমদানি।
ক্রমশ যদি অন্যান্য দেশও বাজবল ক্রিকেট খেলার পন্থা নেয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যদিও স্টোকস বলেছেন, তাঁদের খেলার স্টাইল অন্যদের অনুকরণ করতে হবে তার কোনও মানে নেই। তাঁর দলের সঙ্গে বাজবল খাপ খায়।