ভারতের বিরুদ্ধে ব্রিস্টলে একমাত্র টেস্টটিতে টসে জিতে প্রথমেই ব্যাটিং শুরু করেছে ইংল্যান্ড। দলের অধিনায়ক হিথের নাইট মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন। ভারতের অন্যতম অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা নিলেন নাইটের উইকেটটি। ১৭৫ বলে ৯৫ রানে এলবিডব্লু আউট হয়ে ফিরে যান। দলের রান তখন ৫ উইকেটে ২৪৪। আর দিনের শেষে সেই স্কোর গিয়ে দাঁড়ালো – ৬ উইকেটে ২৬৯ রান।
ভারত সাত বছর পর টেস্ট খেলতে নেমেছে। ৫ জন ক্রিকেটারের এই টেস্ট অভিষেক ঘটেছে। আর ইংল্যান্ড খেলাচ্ছে সোফিয়া দুঁকলেকে – যিনি ওই দেশের প্রথম ‘ ব্ল্যাক উইমেন ক্রিকেটার’।
শুরুটা ইংল্যান্ড ভালো করেছে ঠিকই হয়তো, কিন্তু ভাগ্যও তাদের সাহায্য করে। দুই ওপেনার ৬৯ রান তোলে প্রথম উইকেটে। কিন্তু কপাল খারাপ ঝুলন গোস্বামীর। ভারতীয় পেসারটির বলে সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইনফিল্ড হিল (৩৫) সহজ ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। কোমর সমান উচ্চতায় আসা সেই ক্যাচ হাতে জমতে পারেনি স্মৃতি মানধানা। ঝুলনের প্রথম স্পেল শেষ হতেই ম্যাচে মেলে ধরতে শুরু করে ইংল্যান্ড।
তারপর থেকে বড় রানের ইনিংস গড়ার দিকে এগুতে থাকে ইংল্যান্ড। প্রথমদিনের লাঞ্চে স্কোর চলে যায় এক উইকেটে ৮৬ রানে। সেই হিল শিখা পান্ডের বলে এক ওভারে একটি চার ও ছক্কা হাঁকান। ২০০৬ সালের পর আবার ইংল্যান্ডের কোনও ব্যাটসম্যান টেস্টে ছয় হাঁকালেন। হিল এরপর আরও একটি ছক্কা হাঁকান। ইংল্যান্ড যখন ম্যাচের দখল নিয়ে লাঞ্চে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল, তখন দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক তানিয়া ভাটিয়া। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ভাস্ত্রকরের বলে হিলের ( ৬৪ বলে ৩৫ রান) ক্যাচ ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে ধরে নেন।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন নাইট আর বিউমন্ট। এই জুটি ভাঙেন ৫ বছর পর আবার জাতীয় দলে ফেরা দেরাদুনের অফ স্পিনার স্নেহ রানা। বিউমন্টকে ( ১৪৪ বলে ৬৬ রান) ফেরান শর্ট লেগে ফিল্ডিং করা আরেক অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার শেফালি ভার্মার হাতে ক্যাচ তুলিয়ে। ইংল্যান্ড তখন ১৪০ রানে পৌঁছেছে।
এরপর দলনেতা নাইট তৃতীয় উইকেটে নতালিয়ে সিভের সঙ্গে জুটি বেঁধে তোলেন ৯০ রান। দীপ্তি শর্মার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে সিভের ( ৭৫ বলে ৪২ রান) এল বি ডব্লু আউট হন রিভিউ নেওয়ার পরও। দশ বল পরে আবার একটি উইকেট ফেলে ভারত। স্নেহের বলে আবারও এলবিডব্লু আউট হলেন জোনস (১)। দু – ওভার পর অধিনায়ক নাইটকে (১৭৫ বলে ৯৫ রান) নড়বড়ে নব্বুইয়ে ফেরান অভিজ্ঞ অফ স্পিনার দীপ্তি। আরও দুই ওভার পর এলভিসের (৫ রান) উইকেট নিলেন স্নেহ। ম্যাচে ৩ উইকেট হয়ে গেল তাঁর।
উইকেট স্লো। স্পিনারদের সাহায্য করছে। ভারতীয়দের ক্লোজ ইন ফিল্ডিং আলগা হওয়ায়, এই রান তুলতে পারলো ইংল্যান্ড। মেয়েদের টেস্ট ম্যাচ চারদিনের। প্রতিদিন ১০০ ওভার করে খেলা হয়। খেলার দ্বিতীয়দিন শুরুতে বাকি ৪ উইকেট নিয়ে ৩০০’ র মধ্যে ইংল্যান্ডকে আটকে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। স্নেহ ( ২৯-৪-৭৭-৩ ) এবং দীপ্তি শর্মা ( ১৮-৩-৫০-২) ভারতের সফল বোলার।