জোড়া গোল হ্যারি কেনের, ইউক্রেনকে উড়িয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড।
অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ড| স্টার্লিং, কেন ম্যাজিকে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে গ্যারেথ সাউথগেটের দল| তাদের সামনে এবার ডেনমার্ক|
আরও পড়ুন: চেকদের হারিয়ে ডেনমার্কের অশ্বমেধের ঘোড়া এখন সেমিফাইনালে
ইউরো কাপের অন্যতম প্রধান দাবীদার ছিল তারা| সেইমতো ইউরোতে যাত্রা শুরু করলেও তেমনভাবে দেখা যাচ্ছিল না অলস্টার ইংল্যান্ড বাহিনীকে| জার্মানিকে হারিয়েই আত্মবিশ্বাসটা তুঙ্গে পৌঁছেছিল তাদের| আর তার জেরেই ব্রিটিশরা এখন ভয়ঙ্কর|
ফুটবল বিশ্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্যদয়ের পথে তীব্র গতিতে এগিয়ে চলেছেন কেন, স্টার্লিংরা| ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও, অঘটনের ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের জয় নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কেউই কিছু বলতে পারছিল না| অবশেষে স্বস্তি| ইতালির মাটিতে ব্রিটিশ বাহিনীর বিজয়রথ থামল না, বরং গতি আরও বাড়ালো বললেই|
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা| ৪ মিনিটের মধ্যে স্টার্লিংয়ের সাজানো বল, যা জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি হ্যারি কেন| প্রথমার্ধে অল্পের জন্য কিছু সুযোগ মিস না করলে, গোলের সংখ্যাটা তখনই হয়ত বেড়ে যেত| কখনও কেন তো আবার কখনও স্টার্লিং, স্যাঞ্চোদের আক্রমণের ঝড় সামাল দিতে গিয়ে পাল্টা আক্রমণের তেমন কোনও সুযোগই পায়নি শেভচেঙ্কোর দল|
বিরতির পর খেলার রঙ বদলের আশায় ছিল ইউক্রেন| কিন্তু এদিন ইংল্যান্ডকে আটকানোর জন্য কোনও স্ট্র্যাটেজিই যথেষ্ট ছিল না| ৪৬ মিনিটে ম্যাগুয়েরের গোল এবং ৪ মিনিটের মধ্যে হ্যারি কেনের দুরন্ত হেড ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের রাস্তাটা নিশ্চিত করে দেয়|
গোলের খাতা অবশ্য এখানেই বন্ধ হয়নি| ৬৩ মিনিটে হেন্ডারসনের গোল, ইউক্রেনের বেঁচে থাকা যতকিঞ্চিত মনোবলটুকুও শেষ করে দেয়| তখন শুধুই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার অপেক্ষায় সকলে|
এরপরই শুরু উল্লাস| ১৯৬৬ সালের পর থেকে আর কোনও আন্তর্জাতিক ট্রফি নেই ইংল্যান্ডের| গ্যারেথ সাউথগেটের হাত ধরে সেই স্বপ্নই এখন দেখা শুরু করেছে গোটা ইংল্যান্ড| ইউরোপ সেরার সিংহাসনে বসার জন্য আর মাত্র দু ম্যাত দূরে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশরা|
সেমিফাইনালে ওয়েম্বলিতে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নামবেন হ্যারি কেন, স্টার্লিং এবং স্টোনসরা|