বার্মিংহ্যাম: হাতে সাত উইকেট এবং গোটা একটা দিন, অ্যাশেজ সিরিজের (Ashes Series) প্রথম টেস্ট জিততে আর ১৭৪ রান চাই অস্ট্রেলিয়ার (Australia)। সমীকরণটা দেখে যত সহজ মনে হচ্ছে একেবারেই ততটা সহজ নয়। ২৮১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চতুর্থ ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছিল অজিরা। ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) এবং উসমান খোয়াজার (Usman Khawaja) ওপেনিং জুটি অবলীলায় খেলে দিচ্ছিলেন ব্রড, অ্যান্ডারসন, রবিনসন এবং মইন আলিকে (Moeen Ali)। ৬১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। এরপর দিনের একেবারে শেষ লগ্নে পরপর আউট হন মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuschagne) এবং স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। দুজনেই স্টুয়ার্ট ব্রডের (Stuart Broad) শিকার।
স্মিথের উইকেট নেওয়ার পরেই প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড (England)। এমনকী তারা কিছুটা এগিয়ে আছে। পঞ্চম দিনের সকালের প্রথম ঘণ্টায় জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটি। ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রাকে টপকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই জুটিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দেওয়া অলি রবিনসনও বল হাতে ছোটার জন্য মুখিয়ে। তবে পঞ্চম দিনের উইকেটে যাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবেন বেন স্টোকস (Ben Stokes), তিনি মইন আলি।
আরও পড়ুন: Euro Cup 2024 Qualifying | ৭ গোল দিল ইংল্যান্ড, নয়া রেকর্ড এমবাপের
শুকনো পিচ, বল ঘুরছে যথেষ্টই। ক্রিজে আছেন খোয়াজা। তিনি এবং আর এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড (Travis Head) বাঁ-হাতি। তারপর অ্যালেক্স ক্যারি (Alex Carey) এবং মিচেল স্টার্কও (Mitchell Stark) বাঁ-হাতি। ফলত, অফস্পিনার মইনের উপর অনেক দায়িত্ব।
The ball of Ashes 2023.
Captain Cummins for Australia, He is a machine. pic.twitter.com/SzDHJ7glE6
— Johns. (@CricCrazyJohns) June 19, 2023
প্রথমেই বলেছিলাম, ১৭৪ রান শুনতে কম মনে হলেও আসলে অনেকটাই। মঙ্গলবার খোয়াজা যদি শুরুতেই আউট হয়ে যান তবে কাঁপুনি লাগবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপে। আর একজনের হাতে আছে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের চাবিকাঠি, তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final) ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হেড। অজিদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বাজবল ক্রিকেট খেলেন। তাঁর ব্যাট চললে ১৭৪ রান তুলতে বেশি সময় লাগবে না।
ম্যাচ যেই জিতুক, একথা স্বীকার করতেই হবে, বহুদিন পর এমন রোমাঞ্চকর টেস্ট ম্যাচ দেখা যাচ্ছে। টি২০র যুগে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া অন্য দেশে মাঠে তেমন দর্শক হয় না। লাল বলের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ রীতিমতো সঙ্কটে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ধরনের টেস্ট ম্যাচ বিশল্যকরণী মৃতসঞ্জিবনীর মতো। খেলছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু তা নিয়ে চর্চায় অন্যান্য দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। টুইটারে রীতিমতো ট্রেন্ডিং চলছে অ্যাশেজ সিরিজ। এই তো চাই। এরকম ম্যাচই তো প্রমাণ করে, টেস্ট ক্রিকেট ইজ দ্য বেস্ট ক্রিকেট।