কলকাতা: মরশুমের এই প্রথম ম্যাচ নিজেদের মাঠে খেলল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আর সেই ম্যাচেই পাঁচ গোলের নজির গড়লেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ইস্টার্ন রেলের (Eastern Rail) বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে জিতলেন তাঁরা। জয়ের খুশিতে মাঠে ঢুকে পড়লেন কয়েশো সমর্থক। বহু যুগ পর ফের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা গেল লাল-হলুদ সমর্থকদের। ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলের কোচ কার্লোস কুয়েদ্রাত (Carlos Cuadrat) প্রথম থেকেই আজ মাঠে উপস্থিত ছিলেন। জুনিয়র দলের পুরো খেলা দেখেন তিনি।
গত ম্যাচে বিএসএসের (BSS) বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। তবে বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল বিনো জর্জের ছেলেরা। ২০ মিনিটে ফ্রিকিকে বল গোল করার জন্য সাজিয়ে দেন দীপ। তবে বিপক্ষের গোলরক্ষক দ্বীপের শটটি আটকে দেন। বল তখনও বক্সের ভিতর। সেখান থেকে জালে বল জড়িয়ে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন অভিষেক। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোলটি হয় ৩১ মিনিটে। ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন আমান। পাল্টা চাপ বাড়াতে শুরু করেন ইস্টার্ন রেলের ফুটবলাররা। এইরকম টানাটানির পরিস্থিতিতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ ।
আরও পড়ুন: Virat Kohli | ফেডেরার-নাদাল-টাইগার উডসের সঙ্গে কোহলির তুলনা টানলেন এবিডি!
দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতেই লিজোর পরিবর্তে নামানো হয় রাজিবুলকে। তবে ৫১ মিনিটের মাথায় ছোট্ট ভুল করে ফেলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। দুই খেলোয়াড়েরর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ফলে রেলের হয়ে গোল করেন দিব্যেন্দু। ৭৬ মিনিটে ফের একবার গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল ইস্টার্ন রেলের কাছে। ৮৮ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করে ফেলেন ইস্টবেঙ্গলের রাজিবুল। ৫-১ এগিয়ে যায় লাল-হলুদ বাহিনী। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে ঢুকে পড়েন বহু সমর্থক।
ম্যাচ শুরুর আগে কুয়াদ্রাত পেপ টক দেন জুনিয়র ফুটবলারদের। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলার কথা বলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জ বলেন, “আমরা আগের বারের মতো খারাপ ফল করব না।” অন্যদিকে ইস্টার্ন রেলের কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী দলের এই খারাপ পারফর্ম্যান্সের পর পদত্যাগ করলেন|