বৃহস্পতিবারও শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তির শর্তাবলীর সঙ্গে একমত হয়ে সই করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না ইস্ট বেঙ্গল। পঁয়ত্রিশ মিনিট সভা চলার পর কার্যকরী কমিটির জরুরী সভা স্থগিত হয়ে গেল। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় আবার সভা বসার কথা। ক্লাব সূত্রের খবর, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গলের মতের অমিল হওয়ার পিছনে এখনও চারটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ক্লাব তাঁবু, মাঠ, গ্যালারির সত্ত্ব লিখে দিতে হবে শ্রী সিমেন্টকে। এই জায়গাটা ক্লাব কিছুতেই মানতে চাইছে না। আর শ্রী সিমেন্টও তাদের অবস্থানে অনঢ়। তারা কিছুতেই কোনও রকম সমঝোতায় রাজি নয়।
শ্রী সিমেন্ট এবং ইস্ট বেঙ্গলের চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল ক্লাবের প্রাক্তন সচিব আইনজীবী পার্থ সেনগুপ্তকে। শ্রী সিমেন্টের শর্তগুলি দেখে তিনি বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। দু পক্ষই সেই পরিবর্তিত শর্তগুলি মৌখিকভাবে মেনে নিয়েছিল। এবার শ্রী সিমেন্টের কাজ ছিল সেই পরিবর্তিত শর্তগুলিকে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে নতুন করে ক্লাবকে পাঠানো। সেই কাজটা তারা করেছিল গত সোমবার। শ্রী সিমেন্টের পাঠানো পরিবর্তিত চুক্তিপত্র পেয়ে ক্লাব সেটিকে পাঠিয়ে দিয়েছিল তাদের আইনজীবীদের কাছে। আইনজীবীদের মতামত জানার পর ডাকা হয়েছিল এদিনের কার্যকরী কমিটির জরুরী সভা। কিন্তু সেখানেও আটকে গেল পরিবর্তিত চুক্তিতে সই করার সিদ্ধান্ত। সভা থেকেই শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে চারটি শর্তের ব্যাপারে নমনীয় হতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই পঁয়তিরিশ মিনিট সভা চলার পর মুলতবি হয়ে যায় এদিনের সভা। শুক্রবার তা আবার বসার কথা। এর মধ্যে শ্রী সিমেন্ট যদি চারটি শর্তের ব্যাপারে নমনীয় হয়ে ই মেল করে তাহলে সমস্যা মিটে যেতে পারে। এখন দেখার সেটা তারা করে কি না। ময়দানের বাকি দুই প্রধান যখন দল গড়ে, প্র্যাক্টিস করে টিম নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে তখন ইস্ট বেঙ্গল এখনও পড়ে রয়েছে চুক্তিজটের মধ্যে। এই অন্ধকার যে কবে কাটবে কেউ জানে না।