প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়| স্বাধীনতা দিবসেই ময়দানের আকাশ থেকে খসে গেল আরও এক তারা| হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়| শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রীড়া মহল|
কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানেই খেলেছেন তিনি| ১৯৭৫ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলেন চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়| এরপরই ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন তিনি| ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে বহু ম্যাচ জয়ের সাক্ষী থেকেছেন|
মাঝে ৮০-৮১ মরসুমে মহমেডানের জার্সিতে খেলেছেন এই তারকা ফুটবলার| এরপরই ৮২ সালে ফের ইস্টবেঙ্গলে প্রত্যাবর্তন| ৮৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি| শুধু এটুকুই নয়| বাংলার হয়ে চারবার সন্তোষ ট্রফিতে নেমেছিলেন চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়| তিনবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি|
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৭৭, ৮২ এবং ৮৫ সালে| মাঝে ৮১ সালে মহমেডানের হয়েে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন| ইস্টবেঙ্গলের রাইট ব্যাক পজিশনে খেলতেন তিনি| ১৭ নম্বর জার্সিতেই মাঠে নামতে দেখা যেত চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়কে|
১৯৭৬ সালের আইএফএ শিল্ডে স্ট্যান্ডবাই ফুটবলার হিসাবে ছিলেন ইস্টবঙ্গলের রিজার্ভ বেঞ্চে| ফাইনালে শরীর খারাপের জন্য সাইড ব্যাক অশোকলাল বন্দ্যোপাধ্যায় নামতে পারেননি| সেই জায়গাতেই অমল দত্ত তাঁকে রাইট ব্যাক পজিশনে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন| গোটা ম্যাচ ছিল গোলশূন্য| নজর কেড়েছিলেন সকলের|
ফুটবলারের পাশাপাশি কোচ হিসাবেও ইস্টবঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েছেন| পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যাম থাপার সহকারী হিসাবে লাল-হলুদ শিবিরের দায়িত্ব সামলেছিলেন চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়| তিনিই একমাত্র ফুটবলার যিনি ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে সাহায্য করেছিলেন ক্লাবকে|
সেই চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ই চলে গেলেন রবিবার দুপুরে| হঠাতই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি| হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়| রেখে গেলেন স্ত্রী, এক পুত্র ও কন্যাকে| শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রীড়া মহল| শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী|
Saddened to hear about the demise of eminent footballer Chinmoy Chatterjee. His contribution to the world of football will be remembered by all.
Heartfelt condolences to his family and fans.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 15, 2021
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া কলকাতা ময়দানে|