টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সাফল্যে অনুপ্রাণিত সকলে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর পরবর্তী সাফল্যের রোড ম্যাপ বানিয়ে ফেলতে চান। তাই সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ক্রীড়া মন্ত্রীদের সঙ্গে আজ সারবেন এক ‘ভার্চুয়াল মিটিং’। মূল অলিম্পিক্সের সঙ্গে প্যারা – অলিম্পিক্সের সাফল্য মাথায় রেখে পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে এই সভায়।
আরও পড়ুন: অলিম্পিক্স বিজয়ীদের বিনামূল্যে বিমানে ভ্রমণের সুযোগ
এই বিজেপি সরকারের ‘খেলো ইন্ডিয়া’ আর ‘ফিট ইন্ডিয়া’ প্রজেক্ট সামনে রেখে এগুনো হবে।
এই আলোচনায় অনুরাগ সকল সংস্থাকে অনুরোধ করতে চলেছেন, গ্রাম-জেলা-শহর জুড়ে নিয়মিত খেলার নানান ইভেন্ট চালিয়ে যেতে হবে। দক্ষতা সম্পন্ন প্রতিভাদের চিহ্নিত করে তাদের তৃণমূল স্তর থেকে সবরকম সাহায্য দিতে হবে।
Anurag Thakur to interact with sports ministers of States, UTs to draw roadmap for sports development
Read @ANI Story | https://t.co/RcyzzbZDP6#AnuragThakur pic.twitter.com/QEv8o0Vfc6
— ANI Digital (@ani_digital) September 19, 2021
স্কুল পর্যায়ে স্পোর্টসকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হবে। স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে ( SGFI) আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলবেন।
কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের জন্য বিশেষ ভাবনা আছে। প্রস্তাব দেওয়া হবে, এই অঞ্চলের প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের প্রতি প্রতিযোগিতায় আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করার। কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথ উদ্যোগে এই তহবিল গড়বে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ চান তৃণমূল স্তর থেকে খেলোয়াড় তুলে আনতে।
এই মুহূর্তে দেশে ২৪ টি খেলো ইন্ডিয়া স্টেট সেন্টেরস অফ এক্সেলেন্স (KISCE) ইউনিট আছে। তা আছে, দেশের ২৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এছাড়া ৩৬০ টি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার দেশের জেলাতে কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী চান, রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের থেকে আরও কেআইএসসিই (KISCE) আর কেআইসি (KIC) প্রজেক্টের সঙ্গে আরও অ্যাকাডেমি বানিয়ে দেশের স্পোর্টস ইকোসিস্টেমকে নুতন করে সচল রাখতে চান।
এই আলোচনার বসার আগে অনুরাগ পূর্ববর্তী কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু’র সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে নিয়েছেন। এই সভায়, এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাংলার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের থাকার কথা। বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের এই আলোচনা সভায় অংশ নেওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে বাংলার জন্য কী কী সুযোগ বাড়ে,তা দেখার।
ছবি: সৌ – টুইটার