তিনটি ক্লাবেরই শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে। পশ্চিম বঙ্গের খেলাধুলোর ইতিহাসে তো বটেই ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসেও তাদের বিরাট অবদান। কিন্তু এত দিন তাদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেয়নি কোনও কেন্দ্রীয় কিংবা রাজ্য সরকার। এবার কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিন প্রধানের সেই আফসোস মিটিয়ে দিতে চলেছে। আগামি পঁচিশে জুলাই নজরুল মঞ্চে মহানায়ক উত্তমকুমারের নামাঙ্কিত পুরস্কার মঞ্চে মোহনবাগান , ইস্ট বেঙ্গল এবং মহমেডান স্পোর্টিংকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান অর্পন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তিন প্রধানকে এই সম্মান দেওয়া হবে। একই মঞ্চে সংবর্ধিত হবেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং ভরত ছেত্রীও। তাঁদের দেওয়া হবে বঙ্গভূষণ সম্মান। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেছেন রিদ্ধিমান। আর ভারতের অলিম্পিক টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন দার্জিলিংয়ের ভরত ছেত্রী।
রাজ্য সরকারের এই সম্মান পাওয়ার খবরে খুব খুশি তিন প্রধানের কর্তারা। মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত বলেছেন, “মোহনবাগান ক্লাব এই সম্মান পেয়ে খুবই খুশি। এর জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।” ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তিনি বরাবরই ক্রীড়াপ্রেমী। এই স্বীকৃতি তারই ফলশ্রুতি।” মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামারুদ্দিন বলেন, “মমতাদিদি বরাবরই তিন প্রধানকে প্রচুর সাহায্য করেছেন। এবার বড় সম্মান দিচ্ছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।” ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে সম্মান গ্রহণ করতে যাবেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি এবং অলক মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে যাবেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ ভট্টাচার্য। ওদিকে বঙ্গভূষণ সম্মান পেয়ে খুবই খুশি ঋদ্ধিমান সাহা এবং ভরত ছেত্রী। ঋদ্ধিমান বলেছেন, “রাজ্য সরকারের দেওয়া এই সম্মানে আমি খুবই গর্ব অনুভব করছি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।” আর ভরত ছেত্রী বলেছেন, “আমার কৃতিত্বকে সরকার স্বীকৃতি দিচ্ছে জেনে খুবই ভাল লাগছে।”