লন্ডন: ২-০ পিছিয়ে থেকেও অ্যাশেজ সিরিজ (Ashes Series) ২-২ ড্র রেখেছে ইংল্যান্ড (England)। বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টও জিততে পারতেন বেন স্টোকসরা (Ben Stokes)। সর্বত্র প্রশংসা চলছে তাদের আক্রমণাত্মক, ফলাফল-মুখী বাজবল ক্রিকেটের (Bazball Cricket)। একটা কথা অবশ্য মানতেই হবে, বাজবল ব্র্যান্ড কতদূর টিকবে তা বোঝা যাবে আগামী বছরের গোড়াতেই। সে সময় ভারত (India) সফরে আসছে ইংল্যান্ড এবং পাঁচটি টেস্ট খেলবে। ভারতের ঘূর্ণি পিচেই তাদের অগ্নিপরীক্ষা। এমনটা মনে করছেন প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেন (Nasser Hussain)।
চেন্নাই-জাত প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার বলছেন, “এটাই বাজবলের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ভারত এবং ভারতের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা কঠিনতম চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটা।” ভারতে টেস্ট ম্যাচ মানেই প্রথম দিন থেকে একহাত বল ঘোরা ঘূর্ণি পিচ বানানো। তারপর স্পিনারদের লেলিয়ে দেওয়া। বছরের পর বছর ভারতীয় স্পিনাররা সফরকারী দলের ব্যাটারদের নাকানি-চোবানি খাইয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্যর্থতা কাটাতে এবার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে দায়িত্ব দিল আরসিবি
সেই কথা মনে করেই হুসেন বলেন, “বাজবল এবার স্পিনের বিরুদ্ধে। বাজবল রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin), রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) এবং অক্ষর প্যাটেলের (Axar Patel) বিরুদ্ধে, এবং সেই দ্বৈরথ উত্তেজক হতে চলেছে।” এদিকে বাজবল ক্রিকেটের অন্যতম মুখ ইংলিশ ওপেনার জাক ক্রলি (Zak Crawley) বলছেন, ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ তাঁদের ক্রিকেটীয় দর্শনকে পরখ করার দারুণ সুযোগ।
এদিকে অ্যাশেজ শেষ হওয়ার পর ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতে বাজবল আদৌ কার্যকর হবে কি না। স্টোকস বলেন, “আমার মনে আছে যখন আমরা নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ হারিয়েছিলাম, বলা হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পারব না, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারব না, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারব না। তাই ভারতের বিরুদ্ধে পারব কি না কে জানে, সময়ই বলবে।”
বলা বাহুল্য ইংরেজ নেতার গলায় প্রত্যয়ের সুর স্পষ্ট। তবে আর সমস্ত জায়গার থেকে ভারত আলাদা। এদেশে বল প্রথম দিনের প্রথম সেশন থেকে বাঁই বাঁই করে ঘোরে। খেলা শেষ হয়ে যায় আড়াই থেকে তিনদিনে। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করা দল খেলা শুরুর আগেই বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়।