করোনার জন্য গত দু বছর কলকাতা ময়দানে বারপুজো হয়েছে নমো নমো করে। এ বছর করোনার প্রকোপ কমতেই আবার ময়দানে সাড়ম্বরে হল বারপুজো যাতে সামিল মোহনবাগান, ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে উয়াড়ি, ভবানীপুর, শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবও। এমনকি সদ্যোজাত ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাবও এদিন বারপুজোয় সামিল হল।
শুক্রবার বাংলা নবববর্ষের পুণ্য প্রভাতে সবার আগে বারপুজো শুরু হয় ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে। পুরোহিতের পরামর্শ মেনে সকাল সাতটা পঞ্চাশে ক্লাবের মাঠের দক্ষিণ দিকের বারে পুজো হয়। ক্লাবের পক্ষ থেকে পুজো করেন সহসচিব রূপক সাহা এবং ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। বারপুজো সকাল সকাল হয়ে যাওয়ায় প্রাক্তন ফুটবলাররা পৌছন একটু দেরিতে। বেলা বাড়তেই হাজির হলেন ভাষ্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, তরুণ দে, অলক মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির বসু, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। এর পর সবাই মিলে ক্লাব পতাকা উত্তোলনের পর হল মিষ্টিমুখ। দুপুরে ছিল পাত পেড়ে খাওয়া দাওয়া। প্রায় হাজার দেড়েক মানুষ এদিন ইস্ট বেঙ্গলের আয়োজনে মধ্যাহ্ণভোজে হাজির ছিল। আর এ সবের পিছনেই ছিলেন দেবব্রত সরকার।
ওদিকে মোহনবাগানে এবার নতুন সচিব দেবাশিস দত্তের উদ্যোগে আবার বারপুজোয় দেখা গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এবার অবশ্য বারপুজো নতুন মাত্রা পেল এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো এবং তাঁর ফুটবলারদের উপস্থিতিতে। ফেরান্দোর সঙ্গে এসেছিলেন প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, শুভাশিস বসু, সুব্রত পাল, লিস্টন কোলাসোরা। প্রথা মেনে বারপুজোর পর ক্লাব লনে আয়োজিত হল গান এবং আবৃত্তির অনুষ্ঠান। গান গাইলেন মনোজ মুরলী নায়ার। আবৃত্তি করলেন মেধা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্যরা। এর পর উপস্থিত সদস্য এবং সমর্থকদের জন্য আয়োজন ছিল রাধাবল্লভী, ছোলার ডাল, আলুর দম এবং পানতুয়া ও বোঁদের। দুই ক্লাবেই উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওদিকে উয়াড়ি ক্লাবের নবনির্মিত তাঁবুর উদ্বোধন হল পয়লা বৈশাখের প্রভাতে। সঙ্গে হল বারপুজোও। ভবানীপুর ক্লাবও প্রথা মেনে করল বারপুজো। এখানেও উপস্থিত ছিলেন এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। ওদিকে এয়ারলাইন্স ক্লাব তাঁবুতে হল পুজোপাঠ। উদ্যোক্তা শ্রীভূমি স্পোর্টস ক্লাব। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। আর শহর ছেড়ে আনেক দূরে সদ্যোজাত ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাবও বেশ জাঁকজমক করে বারপুজো করল বাটানগর স্টেডিয়ামে। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লসাব এটি। এ বছর তারা কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনে খেলবে।