এ এফ সি কাপের আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের খেলা ৭ সেপ্টেম্বর সল্ট লেক স্টেডিয়ামেই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী এখনও ঠিক হয়নি। আসিয়ান অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। সেই গ্রুপে আছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনাম। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। গত বছর আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে মোহনবাগানকে খেলতে হয়েছিল উজবেকিস্তানের নাসাফ এফ সি-র সঙ্গে। সেই ম্যাচে মোহনবাগান ০-৬ গোলে হেরেছিল। সেই ম্যাচটি হয়েছিল উজবেকিস্থানে। এবার ঘরের মাঠে কী হয় তাই এখন দেখার।
এবার অবশ্য মোহনবাগানের টিম গত বারের তুলনায় বেশ ভাল। বিশেষ করে ডিফেন্সে দুই সেন্টার ব্যাক ব্রেন্ডন হামিল এবং ফ্লোরেন্তিন পোগবা আসায় ডিফেন্সের ওজন বেড়েছে। মোহনবাগানে এখন পাঁচ বিদেশি। ওই দুজন ছাড়া গত বারের তিনজন বিদেশিকে দলে রাখা হয়েছে। কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বুমো এবং জনি কাউকো এবারের দলে আছেন। তবে রয় কৃষ্ণ এবং ডেভিড উইলিয়ামস দল ছেড়ে গেছেন। তাঁদের বদলে একজন স্ট্রাইকারকে নেবে মোহনবাগান। সেটা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। আশা করা যাচ্ছে এ এফ সি কাপের আগেই ষষ্ঠ বিদেশিকে সই করিয়ে ফেলবে মোহনবাগান।
২৯ জুলাই থেকে মোহনবাগানের প্র্যাক্টিস শুরু হবে নিজেদের মাঠেই। এ এফ সি কাপের আগে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারবে ডুরান্ড কাপে। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ। এবার ডুরান্ড কাপে আই এস এল খেলা সব দলগুলিই খেলবে। সঙ্গে থাকবে আর্মির চারটি দল এবং আই লিগের পাঁচটি দল। ডুরান্ডের ফাইনাল হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। তবে ডুরান্ড এবং এ এফ সি কাপের খেলা গায়ে গায়ে পড়ে যাওয়ায় মোহনবাগানের পক্ষে মনে হয় কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ খেলা সম্ভব হবে না। এখনও সরকারিভাবে মোহনবাগান না খেলার কথা না জানালেও ঘটনা যে দিকে এগোচ্ছে তাতে মোহনবাগানের পক্ষে লিগ খেলা সম্ভব নয় বলেই মনে হচ্ছে।