এবারের আই এস এল-এ শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তিন বারের চ্যাম্পিয়নদের। সেই সব পিছনে ফেলে এখন এ এফ সি কাপের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতিতে মগ্ন এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা। কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কোচিংয়ে সল্ট লেক স্টেডিয়ামের প্র্যাক্টিস মাঠে প্রস্তুতি চলছে এটিকে-র। ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের প্রতিদ্বন্দ্বী এখনও অজানা। জুয়ানের দলকে খেলতে হবে নেপালের মাচিন্দ্রা ও শ্রী লঙ্কার ব্লু স্টারের বিজয়ীর সঙ্গে। মঙ্গলবার এই ম্যাচটি হবে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে।
যে দলই জিতুক মোহনবাগানের পক্ষে তাদের হারানো খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে বলে মনে হয় না। আই এস এল চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও মোহনবাগান যথেষ্ট শক্তিশালী দল। চার বিদেশিকে খেলানোর সুযোগ আছে এ এফ সি কাপে। এদের মধ্যে একজনকে এশিয়ান হতে হবে। সেই জয়গায় খেলবেন ডেভিড উইলিয়ামস। ইতিমধ্যেই তিনি প্র্যাক্টিসে যোগ দিয়েছেন। রয় কৃষ্ণ জানিয়েছেন, তিনি আসছেন। বাকিরা একে একে এসে পড়বেন। কোন চারজনকে খেলাবেন তা ঠিক করতে হবে কোচকে। ডেভিড উইলিয়ামস ছাড়া বাকি তিনজনকে বেছে নেওয়াই তাঁর কাজ। তবে হুগো বুমো, জনি কাউকো, রয় কৃষ্ণ এবং তিরির মধ্যে তিনজনকে খেলাতে হবে জুয়ানকে। মোহনবাগানের স্বদেশিরা ইতিমধ্যেই প্র্যাক্টিসে যোগ দিয়েছেন। তবে সব প্লেয়ারকে পেতে আরও দু একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে জুয়ানকে। মোহনবাগানের সঙ্গে সংযুক্তির পর এই প্রথম এটিকে মোহনবাগান খেলবে কলকাতায়। তাই মোহন সমর্থকরা ম্যাচটি দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। পঁচাত্তর শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এ এফ সি।
এদিকে এরই মধ্যে সামনের মরসুমের জন্য দল গঠন শুরু করে দিয়েছে এটিকে। রবিবারই তারা আরও দু মরসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ করল কিয়ান নাসিরিকে। জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান আই এস এল ডার্বিতে ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন। আরও দুই মরসুম দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর কিয়ান বলেছেন, “এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি মোহনবাগানের হয়ে। এ এফ সি কাপের ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ভরা সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমে খেলব ভাবলেই আনন্দ হচ্ছে।” ১২ এপ্রিল মোহনবাগান জিততে পারলে তাদের পরের ম্যাচ ১৯ এপ্রিল সল্ট লেক স্টেডিয়ামেই।