আন্তোনিয়ো হাবাসের ক্ষুরধার বুদ্ধির পরিচয় আরও একবার সকলে পেল| পিছিয়ে থেকেও কেমনভাবে ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে হয় তা ফের বুঝিয়ে দিল এটিকে-মোহনবাগান| পিছিয়ে থেকেও দুরন্ত জয়| মাজিয়াকে ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড|
ম্যাচের শুরুটা এদিন তেমনভাবে করতে পারেনি হাবাসের দল| বরং প্রথমার্ধের বল পজিশন অনুযায়ী তো পিছিয়েই ছিল এটিকে-মোহনবাগান| ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটের মদ্যেই পিছিয়ে পড়ে তারা| বিরতির আগে পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল আর বদলায়নি|
কিন্তু ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে মাত্র ৪৫ মিনিটই সময় নিল মোহনবাগান| দ্বিতীয়ার্ধে আশুতোষ, হুগো বুমোস এবং সাহিলকে নামিয়ে খেলাটা পুরো ঘুরিয়ে দিলেন কোচ হাবাস। জয় ৩-১ গোলে। তিনটি গোল এল কোলাসো, রয় কৃষ্ণা এবং মনবীরদের থেকে।
সাধারণত হাবাসের মানসিকতা হল প্রতিপক্ষকে মেপে আক্রমণে যাওয়া। কিন্তু এই ম্যাচে শুরু থেকেই তিনি আক্রমণাত্মক ছক সাজিয়েছিলেন। যার জেরে ৫ মিনিটের মধ্যে গোলও করে ফেললেন রয় কৃষ্ণা। সেটা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। মাজিয়া এর পর আস্তে আস্তে ম্যাচের দখল নেয়। একটা গোলও করে। ঘরের মাঠে খেলা। সুতরাং তারাই ওই সময় দাপিয়ে খেলছিল।
বিরতির পর থেকে ছক বদল| রয় কৃষ্ণা, কোলাসোদের একের পর আক্রমণ| ৪৮ মিনিটে প্রথম গোল আসে| বল পজিশন মাজিয়া ধরে রাখলেও, সুযোগ কাজে লাগাতে কোনও ভুল করেননি মোহনবাগান কর্তারা| ৬৩ মিনিটে রয় কৃষ্ণার গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড|
আর ৭৭ মিনিটের মাথায় মনবীরের গোল জয় নিশ্চিত করে দেয়| সেইসঙ্গে পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তাটাও প্রশস্ত হয়ে যায় মোহনবাগানের|
পরের ম্যাচে ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে নামবে মোহনবাগান। এই বসুন্ধরা শনিবার গোলশূন্য ড্র করল বেঙ্গালুরুর সঙ্গে।