কলকাতা: ৫ ডিসেম্বর ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (Kiff 2023 Inauguration) শুভারম্ভ হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন তাবড় তাবড় তারকারা। সলমান খান থেকে মহেশ ভাট, সোনাক্ষী সিনহা থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অনিল কপুর কে ছিল না! তবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে ‘উত্তমকুমার’ (Uttam Kumar সম্পর্কে আপ্লুত হলেন অনিল কাপুর (Anil Kapoor)। পাশাপাশি সত্যজিৎ রায় এবং কলকাতার মানুষদের সাংস্কৃতিক মননশীলতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেখাল তাঁকে।
মঞ্চে উঠেই অভিনেতা বলেন, “কলকাতা আমার কাছে কেবল শহরমাত্র নয়। একটা আবেগময় অভিজ্ঞতা। একটা যাত্রা। এবং স্মৃতির এক ভাণ্ডার। যা আমার কেরিয়ার, আমার সিনেমার প্রতি ভালোবাসাকে তৈরি করতে সাহায্য করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমার ফিল্ম লাইফ শুরু হয় কলকাতায়। আজ থেকে ৪৩ বছর আগে ১৯৭৯ সালে আমি মুম্বই বিটি স্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলাম। তার পর বাসে চেপে বালিগঞ্জে একটা গেস্ট হাউসে উঠি। আমার প্রথম কাজ ছিল এমএস সত্তুর ‘কাঁহা কাঁহা সে গুজর গয়ে’। কলকাতাতেই এই ছবি হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ছবি প্রযোজনা করেছিল। আমার জানা নেই এই কলকাতা কানেকশন ছাড়া আমার ফিল্মি কেরিয়ার শুরু হত কিনা। ৪৫ দিন ধরে আমার বাড়ি ছিল বালিগঞ্জ গেস্ট হাউস। সেই সময় থেকে কলকাতা আমার হৃদয়ে।”
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে কেন অনুপস্থিত ছিলেন কমল হাসন?
উত্তম কুমার প্রসঙ্গে এদিন অনিল বলেন, “উনি ছিলেন এক মহান মানুষ। একাই এক প্রতিষ্ঠান। আমি একটা ছবি করেছিলাম ‘নায়ক’। আপনারাই ছবিটিকে সুপারহিট করেছিলেন। সেই ছবিতে আমি ছিলাম নায়ক। পরে আমি জানতে পারি বাংলাতেও এই নামে ছবি রয়েছে। পরিচালক সত্যজিৎ রায়। একমেবদ্বিতীয়ম উত্তমকুমারই ছিলেন নায়কের চরিত্রে। পরে যখন বিস্তারিত জানলাম, আবিষ্কার করলাম উত্তমকুমারের একটা ট্রেন যাত্রার মধ্যে দিয়ে জীবনের যাত্রাকে। যা তাঁকে চিহ্নিত করেছিল মহানায়ক হিসেবে। ১৯৬৬ সালের ছবি। তবু ছবিটি আজও প্রাসঙ্গিক। আজ এই মঞ্চে একজন নায়ক তাঁর গভীরতম শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাচ্ছে বাংলা ছবির কিংবদন্তি এভারগ্রিন মহানায়ককে।” পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়কে সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
দেখুন আরও অন্য খবর