আমির খানকে যুক্তরাষ্ট্রের এ্কটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হল! শাহরুখ খানকে একবার সেই এ্য়ারপোর্টেই আটকে দেওয়া হয়েছিল।
এ্ই দুটি লাইন পড়ে যদি কেউ ভাবেন ‘যত কান্ড কেবলই বলিউডে’, তাহলে ভুল হবে।এই ‘আমির খান’বলিউডের নায়ক নন। ইনি ব্রিটিশ বক্সার।
করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় সঠিকভাবে মাস্ক না পরায় ব্রিটিশ বক্সার আমির খানকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমেরিকান সেই এয়ারলাইনসের প্রতি নিজের হতাশার কথা শুনিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আমির খান। তিনি বলেন, তাঁকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে একজন সহকর্মীর সাথে নামিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। প্লেনের কেউ একজন অভিযোগ করেছিল যে, আমিরের সাথে থাকা তাঁর বন্ধুর মাস্কটি নাক পর্যন্ত ঢাকা ছিলনা। এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থের ফ্লাইটের দুজন লোক ‘ক্রু’র অনুরোধ মেনে চলতে অস্বীকার করায় প্লেনটি আকাশে ওড়ার পর আবার বিমানবন্দরে ফিরে আসে। তবে, পুলিশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে এবার নিষিদ্ধ আইপিএলও, ব্যথিত রশিদ খান
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে আমির খান বলেছেন, ‘আমি নিউইয়র্ক থেকে কলোরাডোতে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যাচ্ছিলাম এবং দীর্ঘ চিকিৎসার জন্য বেশ বিরক্ত ছিলাম। তখন আমাকে বিমান থেকে পুলিশ এসে নামিয়ে নেয়। এয়ারলাইন্সের কর্মীরা একটি অভিযোগ করেছিল, তাঁরা বলেছিল যে আমার সহকর্মীর মাস্ক নাক পর্যন্ত ছিল না। কিন্ত আমি কোনো ভুল করিনি। এসব বলার পরও ওই বিমানটি থামাতে হয়েছিল এবং আমাকে ও আমার বন্ধুকে নামিয়ে দেয়া হয়’। আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ফ্লাইটটি নিউ জার্সির নেয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গেটে ফিরে আসে, কারণ দুইজন যাত্রী লাগেজ রাখার জন্য বারবার ক্রু সদস্যদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেন, বিমান মোডে সেল ফোন রাখেননি এবং ফেডারেল ফেস কভারিং প্রয়োজনীয়তা (মুখে ঠিকমতন মাস্ক লাগানো)মেনে চলেননি।
Disgusted to be banned by @AmericanAir and @traveloneworld for not been able to fly to training camp, i got escorted by police off the plane for no reason. I would like to see evidence for any wrong doings! #AAteam #Notallterrorists pic.twitter.com/dL3UfFcYYl
— Amir Khan (@amirkingkhan) September 18, 2021
এতে বলা হয়, সেখানে প্রটোকল পুলিশ উপস্থিত ছিল যখন বিমানটি গেটে ফেরত আসে। কিন্তু কোনো যাত্রীকে বিমান ছাড়তে বলার সাথে পুলিশ জড়িত ছিল না এবং কোনো হস্তক্ষেপও করেনি। অন্যদিকে সেই এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমরা আমির খানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের কাস্টমারদের নিরাপত্তা এবং ক্রু’দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, আমির খানের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাই। এবং তা গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করা হবে’।
আমির আরও দাবী করেছেন, আমেরিকান এয়ারলাইন্স নাকি তাঁকে ‘ব্যান’করেছে। প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেশাদার বক্সারটি বারবার বলেছেন, মার্কিন পুলিশ তাঁকে নামিয়ে নিয়ে যায়। ভিডিওটিতে তিনি স্পষ্ট বলেছেন,‘আমার সিট ছিল-ওয়ান এ।আমার বন্ধুর ছিল-ওয়ান বি।আমি কোনও অন্যায় করি নি।ঘটনায় শুধু বিরক্ত নই, অপমানিতও বটে। ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। আরও একটি দিনের জন্য আমায় ফিরে আসতে হল নিউ ইয়র্কে’।আমির অন্য বিমান ধরে ক্যাম্পে যোগ দেন।
টুইটারের ভিডিওতে আমির দাবী করেছেন,ফ্লাইটে নিশ্চয় ক্যামেরা থাকবে, তা দেখা হোক। দেখাই তো যাবে,তাঁরা কোনও খারাপ ব্যবহার করেছেন কিনা।এ্মন অভিজ্ঞতা তাঁর প্রথম।
ছবি:সৌ-টুইটার