মুম্বই: গত দুই-তিন বছর ধরেই বক্স অফিসে খরা দেখতে হচ্ছে অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)-কে। ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’, ‘বচ্চন পান্ডে’, ‘রাম সেতু’-র মতো ছবিগুলো বক্স অফিসে একেবারে মুক থুবড়ে পড়েছিল। একই অবস্থা টাইগার শ্রফের (Tiger Shroff)-ও। ‘হিরোপন্থি ২’, ‘গণপত’- এর মতো ছবি বক্স অফিসে ডাহা ফেল। এবার একসঙ্গে জুটি বেঁধে কিছুটা হলেও খরা কাটিয়ে বক্স অফিসে আশার আলো দেখতে পেল অক্ষয়-টাইগারের ইদ রিলিজ ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ (Bade Miyan Chote Miyan)।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৪০)
আলি আব্বাস জাফর (Ali Abbas Zafar) পরিচালিত এই ছবিতে ভারতীয় সেনা আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। বক্স অফিস রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাকশন-প্যাকড এই ছবিটি পুরো দেশে মুক্তির প্রথম দিনে ১৫.৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। গত বছর ইদে মুক্তি পেয়েছিল সলমন খান (Salman Khan) অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ (Kisi Ka Bhai Kisi Ki Jaan)। এই ছবির প্রথম দিনের আয় ছিল ১৩.৫০ কোটি টাকা। সুতরাং প্রথম দিনের আয়ের নিরিখে এক বছরের ব্যবধানে ভাইজানের ছবিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল অক্ষয়-টাইগারের ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’।
আরও পড়ুন: ভাইজান এবার বলিউডের ‘সিকন্দর’!
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’। বলিউডের দুই অ্যাকশন হিরো যখন স্ক্রিন শেয়ার করছেন তখন ধুঁয়াধার অ্যাকশন তো থাকবেই। কিন্তু চলচ্চিত্র সমালোচকদের একাংশের মতে, ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’-র অ্যাকশন দৃশ্য এতটাই জোরাল হয়েছে যে মাঝে মাঝে মনে হতে পারে ফিল্মে অ্যাকশন দেখছি না, অ্যাকশনে ফিল্ম দেখছি। মেশিনগান, ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রের আড়ম্বরে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়া’ ছবির প্রেক্ষাপট। উচ্চস্বরে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছবির প্রেক্ষাপটের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে।
একইসঙ্গে ছবির নায়িকা ক্যাপ্টেন মিশা ওরফে মানুষী চিল্লারের দৃশ্যগুলোতেও বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ ছবিতে চিনুকস, ব্ল্যাক হকস, সি-235, ওশকোশেস, মিলিটারি ট্রাক, হুমভিস, মিলিটারি ল্যান্ড রোভার, এটিভি এবং ট্যাঙ্কের মতো অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গেছে। ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লোনিং এবং উন্নত সুরক্ষা প্রযুক্তিকে। কিন্তু, যথার্থ রিসার্চের যে অভাব রয়েছে তা ছবিতে একদম স্পষ্ট। দর্শকের কাছে পরিচালক আলি আব্বাস জাফর লার্জার দ্যন লাইফকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই চেষ্টা সফল হয়নি বলেই মনে করছেন সিনে বিশ্লেষকরা।
আরও খবর দেখুন