বয়স তাঁর এখন ৯১। মিলখা সিং। উড়ন্ত শিখ – নাম তাঁর, গতির বেগে ছুটতেন বলে। প্রাক্তন অলিম্পিয়ান। গত বুধবার তিনি চণ্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে থাকাকালীন করোনা আক্রান্ত হন। বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল। যিনি এই বয়সে নিয়মিত গল্ফ কোর্সে যেতেন, হঠাৎ তিনি বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন । গত মাস তিনেক ধরে প্রায় ঘরেই বন্দি ছিলেন মিলখা, করোনা – টু দাপাদাপি শুরু করায়। করোনা আক্রান্ত আগেই হয়েছিলেন। এবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল কিংবদন্তি স্প্রিন্টার মিলখা সিংকে। যদিও প্রো-গল্ফ প্লেয়ার তাঁর পুত্র জীব মিলখা সিং জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই মিলখাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পরেই চন্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। আপাতত তাঁকে মোহালির ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। মিলখার ছেলে জীব মিলখা সিং প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে শারীরিক সমস্ত প্যারামিটার ঠিক রয়েছে। তবে গতকাল থেকেই উনি প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন। খাওয়ার খাচ্ছিলেন না। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে উনি আপাতত রয়েছেন।” পাশাপাশি জীব এটাও বলেন, “মানসিকভাবে উনি প্রচণ্ড পজিটিভ । তাই উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। নামি চিকিৎসকরা ওঁর দেখাশুনা করছেন।” দুবাইয়ে এক গলফ টুর্নামেন্টে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন জীব মিলখা সিং। তবে বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে শনিবারই দেশে ফেরেন তিনি। কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন এবং রোম অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা কিংবদন্তির বাড়ির এক কাজের লোক গত সপ্তাহের শুরুতেই কোভিডে আক্রান্ত হন। তারপরেই বুধবার থেকে আইসোলেশনে চলে গিয়েছিল সিং পরিবার। তবে স্বস্তির খবর, মিলখা সিং বাদে পরিবারের বাকি সদস্যরা- মিলখা সিংয়ের স্ত্রী জাতীয় দলের প্রাক্তন ভলিবল ক্যাপ্টেন নির্মল কৌর, নাতি হরজল মিলখা সিং, পুত্রবধূ কুদরত সিং সকলের শেষ করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট মিলেছে । মিলখা সিংয়ের স্ত্রী নির্মল কৌর ইন্ডিয়ান প্রচারমাধ্যমে করোনা আক্রান্ত হয়ে জানিয়েছিলেন, “ আগের সপ্তাহের শুরুতেই একজন রাঁধুনি কোভিডে আক্রান্ত হয়। তারপরেই আমরা বুধবার কোভিড পরীক্ষা করাই। সেই পরীক্ষাতেই মিলখা সিং পজিটিভ ধরা পড়েন। শুরু থেকে ওঁর কোনো উপসর্গ ছিল না। তবে রাতে হালকা জ্বর আসছিল । বাড়িতে ওনাকে আলাদাভাবে বিশ্রামে রাখা হয়েছে । জ্বরের প্রকোপ কমে গিয়েছে।” কিন্তু দুর্বলতার কারণে মিলখাকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হল।