আই পি এলের বাকি ৩১ টি ম্যাচ কবে – কোথায় করা যায়? তা নিয়ে আলোচনা করতে মিটিং ডাকলো বিসিসিআই। জানা যাচ্ছে, ২৯ মে স্পেশাল জেনারেল বডি মিটিং ডেকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বোর্ডকর্তারা। কিন্তু বোর্ড শিবিরে খোঁজ করে জানা যাচ্ছে, প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে – আরব আমির শাহিতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর আটকে থাকা ম্যাচগুলো বিসিসিআই শেষ করতে চাইছে। কিভাবে তা সম্ভব? বিসিসিআই শীর্ষ কর্তারা চাইছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্বিতীয় আর তৃতীয় টেস্টের মাঝে বিশ্রামের দিনক্ষণ কমিয়ে নিতে। এই দুটি টেস্টের মাঝে ৯ দিন হাতে থাকছে। এই ব্যবধান যদি ৪ দিন কমিয়ে আনা যায়, তাহলে ৫ দিন সময় চলে আসবে। ৩০ দিনে আইপিএলের বাকি ৩১টি ম্যাচ শেষ করতে হবে। জটিলতা কেটে যাবে, যদি এই ৫ দিন মেলে। ভারতীয় এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের মরু শহরে পৌঁছে যেতে লাগবে একদিন। আর নক আউট পর্যায়ে লাগবে আলাদা পাঁচদিন। এইক্ষেত্রে প্রমীলাদের আইপিএল আয়োজন করা নিয়ে বড় সংশয় দেখা দিতে পারে। আগেরবার করোনা কালে আরব আমির শাহিতে গোটা আইপিএল টুর্নামেন্টটি হয়েছিল কিন্তু নির্বিঘ্নে। সেই কারণে এবার দৌড়ে এগিয়ে আরব দুনিয়ার দেশটি। জানা গেছে, এবার শুরু থেকেই ২০২১ এর আইপিএলও ওই দেশে আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা তা দেশের মাটিতে করার চ্যালেঞ্জ নেন। এখন সেই টুর্নামেন্ট মাঝপথে আটকে গেছে একাধিক ক্রিকেটের ও সাপোর্ট স্টাফদের করোনাতে আক্রান্ত হওয়ায়। দেশে এখন করোনা – টু পর্ব । আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রাস্ফীতির জন্য এখন মরু শহরে আইপিএল করতে গেলে খরচের বাহর কিন্তু বেড়ে যাবেনা । গতবারও আরবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বিসিসিআই খরচের বাজেট কম রাখতে পেরেছিল। প্রথমবার ২০১৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের জন্য আইপিএলের কিছু ম্যাচ আরব আমির শাহিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেবার সফলভাবে তা আয়োজিত হয়েছিল। তারপর আবার সেখানেই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি হল গতবার। তাও সফলভাবে হয়েছে প্রথমবার করোনার মধ্যে। ২৯ মে বোর্ডের এই বিশেষ সভায় আইপিএল দলগুলির প্রতিনিধিদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। ভার্চুয়াল এই সভাতে সকলে মিলে আলোচনা করে সেইদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার খোলাখুলি মত প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, বাকি পর্ব শেষ করতে হলে গতবারের মতো আরব আমির শাহিতে করা উচিত। আইসিসির সদর দপ্তর সেখানে। বায়ো বাবল বানিয়ে গতবার ক্রিকেটাররা স্বস্তিতে খেলেছিলেন। বিসিসিআই মরিয়া আইপিএল শেষ করতে। তারপরই আছে, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আয়োজক ভারত। আইসিসির টুর্নামেন্ট। ভারতে আদৌ তা করা না গেলে আরব আমির শাহিতে আয়োজন করতে পারে। এতে সুবিধা হবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। নির্বিঘ্নে অংশ নিতে পারবে।