নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশিকায় বন্যপ্রাণ গবেষকেরা চিন্তায় পড়েছেন। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণাপত্র বা তথ্য প্রকাশের সময় আগাম অনুমতি নিতে হবে। একমাত্র কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রক ছাড়পত্র দিলে তবে ওই সব গবেষণাপত্র ও তথ্য প্রকাশ করতে পারবে দেরাদুনের জাতীয় বন্যপ্রাণ প্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ গবেষক, বিজ্ঞানীমহলে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। তাঁরা মনে করছেন এই নির্দেশিকা তাঁদের কাজের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের উপর হস্তক্ষেপ করবে। দেরাদুনের জাতীয় বন্যপ্রাণ প্রতিষ্ঠানের গবেষক-বিজ্ঞানীরা তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বন্যপ্রাণ কর্মীরা এনিয়ে উদ্বিগ্ন।
এপ্রিলের ১৮ তারিখ কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রক একটি চিঠি লেখে দেরাদুনের জাতীয় বন্যপ্রাণ সংস্থাকে। চিঠির মূল বক্তব্য, এবার থেকে বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য প্রকাশের আগে আগাম অনুমতি নিতে হবে কেন্দ্রের। অর্থাৎ যে কোনও গবেষণার খুঁটিনাটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে অনুমতি নিতে হবে কেন্দ্রের। একটি স্বশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর কেন্দ্রের এ ধরনের নির্দেশিকায় বিজ্ঞানী-গবেষকদের একাংশ হতবাক। দেরাদুনের জাতীয় বন্যপ্রাণ প্রতিষ্ঠান দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা সংস্থা। যেখানে গবেষকরা বন্যপ্রাণ এবং পরিবেশের উপর তার প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
আরও পড়ুন: Abhijit Gangopadhyay: এর থেকে সিটই ভালো, সিবিআই সম্পর্কে হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
‘ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার যাবতীয় জার্নাল বা রিপোর্ট কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবেই প্রকাশ হয়ে থাকে। তাই পরিবেশমন্ত্রকের এই নির্দেশে তাঁরা খানিকটা বিষ্মিত।’ বলছিলেন সংস্থার বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিন ওয়াই ভি ঝালা। সরকার কী করতে চাইছে তা স্পষ্ট নয় বলে তাঁর বক্তব্য। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা পেয়ে এখন প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ঘাঁটতে বসেছে কর্তৃপক্ষ। অতীতে এ ধরনের কোনও নজির আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে স্বশাসিত এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান।