কলকাতা: চাকরি বা ব্যবসা করে কিংবা আংশিক সময়ের জন্য পার্টির কাজ করে কেউ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান পাবেন না। সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান পেতে হলে দলের হোলটাইমার বা সর্বক্ষণের কর্মী হতে হবে। দলীয় অনুশাসন কঠোরভাবে পালন করার তাগিদ থেকে এই সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা কমিটিতে কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
রাজ্য কমিটির ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভিন্ন জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে অনেককেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও খোদ জেলা সম্পাদকই হোলটাইমার না হওয়ায় তাঁকেও বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন নজিরও স্থাপন করে ফেলেছে সিপিএম।
এমনিতেই দলের সংগঠনের হাল এখন খুব খারাপ। কমেছে দলের সক্রিয় সদস্য এবং হোলটাইমারের সংখ্যাও। পালাবদলের পর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মিছিল, মিটিং বা অন্য কর্মসূচি হলেও সেগুলিতে ভিড় হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ইভিএম মেশিনে তার কোনও প্রভাব পড়ছে না। একইসঙ্গে দলে নিষ্ক্রিয় সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার পরের বছরই লোকসভা ভোট। এই দুই ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সিপিএম একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার জন্য বয়স এবং অসুস্থতার কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য কমিটি এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে অনেকে বাদ পড়েছেন। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় সরে গিয়েছেন, আবার কাউকে কাউকে সরানো হয়েছে। রাজ্য কমিটি এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও এখন অনেক তরুণ মুখ।
আরও পড়ুন: Howrah Fire: হাওড়ার গোলাবাড়িতে গুদামে ভয়াবহ আগুন
এবার সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বক্ষণের কর্মী বা হোলটাইমার ছাড়া কেউ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হতে পারবেন না। নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে, সেখানে সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ চাকরি বা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় দলের কাজে বেশি সময় দিতে পারছেন না। সেই কারণেই এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ করতে হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।