কলকাতা: গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হঠাৎ বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টিতে মিলেছে সাময়িক স্বস্তি। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এখনই বর্ষা আগমনের কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব একটা বেশি নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১২ জুন। এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে কবে মুক্তি মিলবে, সেদিকেই তাকিয়ে দক্ষিণবঙ্গবাসী।
উত্তরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করলেও সেখানেই থমকে গিয়েছে মৌসুমী বায়ু। আগামী তিন-চার দিন মৌসুমী বায়ু প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি নেই দক্ষিণবঙ্গে। তাই দক্ষিণে এবার বর্ষা দেরিতে প্রবেশ করতে পারে, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেলের পর বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদিন চরম আর্দ্রতাজনিত বজায় থাকবে। বেলা এগারোটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত অস্বস্তি বেশি হবে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১.৮ মিলিমিটার।
বিকেলের পর দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিশেষ করে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া, এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আগামী চার পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুন: Rail Blockade: গেদে-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন অবরোধ, আটকে একাধিক লোকাল-এক্সপ্রেস
এদিকে বর্ষা আসার পর থেকেই ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে প্রবল বারিধারা হয়েই চলেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে৷ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে অর্থাৎ, দার্জিলিং, কালিম্পং, দুই দিনাজপুর ও মালদার দু-এক জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।